জামায়াতে তোলপাড়

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০২:২৭ পিএম

স্টালিন সরকার: জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে হঠাৎ তোলপাড় শুরু হয়েছে। নির্বাচনের ক্যারিকেচা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়; ধানের শীষের প্রার্থীরা নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা করছেন; তখন জামায়াতের ইসলামী নিয়ে এ তোলপাড়। সর্বত্রই এখন আলোচনায় জামায়াত। দলটি কি আবার নাম পরিবর্তন করছে; নাকি দুইভাগে বিভক্ত হচ্ছে? দলটি কী অতীত ভূমিকার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে; ২০ দলীয় জোট থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে; নাকি রাজনীতিতে নতুক কিছু ঘটতে যাচ্ছে? দলটি নিয়ে চলছে হাজারো প্রশ্ন, আলোচনা-বিতর্ক। উল্লেখ, ২০০৮ সালে নাম পরিবর্তন করে দলটি ইসিতে নিবন্ধন নেয়। অবশ্য আদালতের নির্দেশে সে নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে। 

জামায়াতের রাজনীতি প্রসঙ্গে এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রশ্নত্তোর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আদালতে একটি মামলা রয়েছে। এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত দলটিকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকারের কিছু করার নেই। আশা করা যায় শিগগির মামলার রায় হবে তখন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মামলার রায় ঘোষণার আগে কিছুই করা যাবে না।

বিদেশে অবস্থানরত দলের একজন সিনিয়র নেতার পদত্যাগ করায় মূলত জামায়াত নিয়ে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তোলপাড়। কয়েক বছর ধরে নেতাকর্মীদের ওপর দিয়ে সুনামী বয়ে যাওয়া দলটির অবস্থা এখন বিপর্যয়কর। দীর্ঘ ৯ বছর থেকে দলটির প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কর্মকান্ড নেই। এ অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকার জন্য ক্ষমা এবং নতুন নামে দল গঠন নিয়েই দেখা দিয়েছে মতভেদ। দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক পদত্যাগপত্রে দাবি করেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাইতে তিনি জামায়াতকে একাধিকবার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তার পরামর্শ উপেক্ষা করা হয়েছে। যদিও মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়া জামায়াতের নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান কয়েক বছর আগে কারাগার থেকে লেখা এক চিঠিতে দলে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। 

দীর্ঘ ওই চিঠিতে বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে কামরুজ্জামান লিখেছিলেন, প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের (জামায়াত) ভবিষ্যৎ কী? এ রিপোর্ট লেখার সময় খবর আসে জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের দলের সাধারণ সম্পাদক মো. বখতিয়ার উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘ভুল’ শোধরাতেই জামায়াত থেকে পদত্যাগ করলাম। 

জামায়াত নেতাদের পদত্যাগ-বহিষ্কারের ঘটনা নিয়ে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা ও মন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছেন। বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য না দিলেও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বক্তব্য দিয়েছেন। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের কয়েকজন নেতা।

বিদেশে অবস্থানরত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক মতপার্থক্যের কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করায় পর বিতর্কের শুরু হয়। তাঁর পদত্যাগের একদিন পর শিবিরের সাবেক সভাপতি ও দলের নেতা মজিবুর রহমান মঞ্জুকে বহিষ্কার করা হয়। মজিবুর রহমান মঞ্জু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের বহিষ্কারের খবর জানান। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও শিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জুকে নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে দলটি। কারণ এর আগে ১৯৯৪ সালে যশোর জেলার কেশবপুর আসন থেকে নির্বাচিত জামায়াতের এমপি মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন দল ছেড়ে বিএনপিতে যোগদান করায় দলটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিল। দলের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরতে সারাদেশের তৃর্ণমূলের নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি চিঠি পাঠিয়েছে দলটি। সেখানে বলা হয়েছে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগে আমরা মর্মাহত। সংগঠনের এক কঠিন সময় এটা আমাদের বাড়তি কষ্টের কারণ। 

দীর্ঘদিন তিনি আমাদের সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। আইন অঙ্গনে সংগঠনের কঠিন সময়ে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অতীতের সব অবদানকে সম্মানের চোখে দেখি। এরপর শিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জুর ব্যাপারে চিঠিতে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক বছর থেকে তিনি সংগঠনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে প্রকাশ্যে ভিন্নমত প্রকাশ করে আসছিলেন। যা সংগঠনের জন্য খুবই বিব্রতকর। তার কর্মকান্ড সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী হওয়ায় তাকে এসব পরিহার করার জন্য সতর্ক করা হয়। দলের আমীরের নেতৃত্বের ও মহানগরীর নেতারা বসে এরকম কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য তাকে সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় তার প্রতি এ দরদ ও উদারতার কোনো মূল্যই তিনি দেননি। 

জামায়াতের অভ্যন্তরে হঠাৎ বিরোধ এবং বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জানতে দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পারওয়ারকে কয়েক দফায় ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দলের বিপর্যয় অবস্থায় কৌশলগত কারণে দলটির নেতারা কথা বলা থেকে বিরত রয়েছেন। তবে অফিসিয়ালি বিবৃতি-বক্তব্য মিডিয়ায় পাঠিয়েছেন। তবে দলটির আদর্শিক চিন্তাবিদ শাহ আবদুল হান্নান মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, জামায়াত রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। নতুন করে একটি দল করতে পারে যারা সরাসরি ইসলামের কথা বলবে না, কিন্তু ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে। 

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগকে তার ব্যক্তিগত অধিকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাজ্জাক আমার বন্ধু ও ছোট ভাই। তিনি পদত্যাগ করেছেন এবং জামায়াত রাজ্জাকের অবদানের কথা স্বীকার করে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা খুবই ভালো দিক। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অধ্যাপক গোলাম আযম নিজে অনেক বছর আগে ক্ষমা চেয়েছেন। জেল থেকে বের হওয়ার পর ঢাকায় বিশাল জনসভায় তিনি ক্ষমা চেয়ে বলেছিলেন, ‘আমি যদি কোনো ভুল-ত্রুটি করে থাকি তবে ক্ষমা চাচ্ছি’।

পদত্যাগ করে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পৃথিবী পরিবর্তন হয়েছে। মুসলিম বিশ্বেও পরিবর্তন হচ্ছে। সেই পরিবর্তনকে বিবেচনায় এনে জামায়াতের নতুন প্রজন্মের নতুন চিন্তা করা উচিত। গতকাল শনিবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম আলোকিত, তারা শিক্ষিত, তারা ওয়াকেবহাল। যথেষ্ট ফরওয়ার্ড লুকিং মানুষ জামায়াতে রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি জামায়াতের নতুন লোকজন যদি লিডারশিপে আসে, তাহলে পরিবর্তন সম্ভব। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ’৭১ সালের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব জামায়াতের মধ্যে ছিলো। কিছু লোক ক্ষমা চাওয়ার পক্ষে ছিলেন। আর কিছু ছিলেন না। আমাদের আসলে ক্ষমা চাওয়ার সংস্কৃতি কম। 

জামায়াতে ইসলামিকে বিলুপ্ত করে দেয়ার কথা বলেছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় ৯ বছর হয়ে গেলো জামায়াত প্রকাশ্যে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না, মিছিল-মিটিং করতে পারে না, প্রেস কনফারেন্স করতে পারে না। সুতরাং জামায়াত এখন প্রায়মৃত। জামায়াতকে নিয়ে এই অবস্থায় অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়। এজন্যই আমি জামায়াতকে বিলুপ্ত করে দিতে বলেছি। ভেবেছিলাম জামায়াতে ইসলামকে আমি কনভেন্স করতে পারবো। বাঝাতে পারবো ’৭১-এ জামায়াতের ভূমিকার জন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া এবং অভ্যন্তরীণ সংস্কার করা উচিত। আমি আমার প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছি, কিন্তু ফাইনালি দেখতে পেলাম, ওই বিষয়ে কোন অগ্রগতি হবে না, তখনই আমি পদত্যাগ করলাম। 

ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি জামায়াতের ঢাকা মহানগর মজলিসে শূরার সদস্য মজিবুর রহমান মঞ্জু নিজেই বহিষ্কারের কথা জানিয়ে লিখেছেন, শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমদের পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিষদের একজন সদস্য আমাকে জানান যে, আমার দলীয় সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। মজিবুর রহমান মঞ্জুর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন জামায়াতের সংস্কার চাওয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে ১৯৮২ সালে শিবিরের সাবেক সভাপতি আহমদ আবদুল কাদেরকে সংগঠন থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। ওই কমিটির সেক্রেটারি ফরিদ আহমদ রেজাকেও সরে যেতে হয়েছিল। দল থেকে সদ্য পদত্যাগ করা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের একনিষ্ঠ কর্মী মজিবুর রহমান মঞ্জু। স্ট্যাটাসে বলেন, বেশ কয়েক বছর যাবত সংগঠনের কিছু বিষয়ে আমি দ্বিমত করে আসছিলাম। মৌখিক ও লিখিতভাবে বৈঠকে আমি প্রায়ই আমার দ্বিমত ও পরামর্শের কথা দায়িত্বশীলদের জানিয়েছি।

জামায়াত প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে জামায়াত নতুন নামে আসার কৌশল নিতে পারে। নতুন কোনো চিন্তা-ভাবনায় হয়তো তারা এসেছে। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের বিষয় নিয়ে ৪৭ বছর পর ক্ষমা চাওয়ার বিষয় কেন এলো? সেটাও কোনো কৌশল কি না ভেবে দেখতে হবে। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার জন্য এখনো জামায়াত ক্ষমা চায়নি। ক্ষমা চাওয়ার আগে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে ক্ষমা চাইলেও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বন্ধ হবে না। 

জামায়াত থেকে পদত্যাগ করা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, তিনি (ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক) যে কথাগুলো বলেছেন তা নিশ্চয়ই ভালো। তার কথাগুলোকে স্বাগত জানাই, কিন্তু কথাগুলো কি উদ্দেশ্যে সেটি তার পরবর্তী কার্যক্রম দিয়েই বোঝা যাবে। জামায়াতে জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতাকারী ও জঙ্গিবাদী ধারণা আছে। তারা সেই ধারণা সেই চিন্তাগুলোকেই আদর্শ করে ভিন্ন নামে আরেকটি সংগঠন করতে চায় কি-না সেটিও দেখার বিষয়। ১৪ দলীয় জোটের শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আমি তো মনে করি জামায়াতের নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের মধ্যে এ উপলব্ধি অনেক দিন ধরেই রয়েছে। যুদ্ধাপরাধের নেতৃত্বে যারা ছিলেন তারাই এটা হতে দেয়নি। রাজ্জাকের পদত্যাগ জমায়াতের মধ্যে নতুন মেরুকরণের পথ তৈরি করবে। এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য ভালো হবে। জামায়াত ইস্যুতে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কো 
চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, আমি যতটুকু জানি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যারিস্টার রাজ্জাক একটা মতবাদ বিশ্বাস করতেন। একাত্তরে তাদের ভূমিকা ঠিক ছিল না। যে কোনো কারণেই হোক তিনি পদত্যাগ করেছেন। এখন জামায়াতের প্রথম সারিতে যারা আছেন তাদের বেশিরভাগই স্বাধীনতার পরের প্রজন্ম। 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমরা স্পষ্ট বলছি- জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ওদের ইন্ডিভিজুয়াল কোনো স্টেটমেন্টের গুরুত্ব নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- জামায়াতের মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হয়ে গেলে নিষিদ্ধ হবে। তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। বিএনপির স্থায়ী কমিটি থেকে পদত্যাগকারী নেতা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মিডিয়ায় বলেন, আমি এটাকে খুব পজিটিভলি দেখছি। আমি মনে করি রাজ্জাক সাহেব দেরিতে হলেও তার এ উপলব্ধি ও ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন। খুব ভালো দিক। আমি বিশ্বাস করব জামায়াতে ইসলামীর সকলেই তা-ই করবে; দল হিসেবেও তারা ক্ষমা চাইবে। জামায়াত সত্যি সত্যি মানবতাবিরোধী মতবাদে বিশ্বাসী না হয়ে থাকলে অনেক আগেই তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল। বাংলাদেশের মানুষ অনেক বড় উদার, বড় মনের মানুষ। তারা চাইলে ক্ষমা করবে।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: