আদিবাসী তরুণীর সুইসাইড নোট, জাহিদকে ধরলে সব বের হবে

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৩:৩৯ পিএম

চট্টগ্রাম মহানগরীর অভিজাত খুলশি এক নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাট বাসায় ওয়াইনুচিং মারমা (২৩) নামের এক আদিবাসী তরুণীর আত্মহত্যাকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নিজে আত্মহত্যা করার পূর্বে ডায়রিতে লিখে রাখা এক সুইসাইড নোটে তার আত্মহত্যার জন্য পরিবারের কেউ দায়ী নন উল্লেখ করলেও জাহিদ নামের এক ব্যক্তিকে ধরা হলে সব জানা যাবে বলে উল্লেখ করেছেন এই তরুণী।

শনিবার রাতে পুলিশ বাসার সিলিংয়ের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ওয়াইনুচিং মারমার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। খুলশি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, খুলশি আবাসিক এলাকার দক্ষিণ খুলশি এক নম্বর সড়কের সৈয়দ রহমান টাওয়ারের ষষ্ঠ তলার একটি ফ্ল্যাটে বড় বোনের পরিবারের সাথে বসবাস করতেন ওয়াইনুচিং মারমা। সম্প্রতি তার চাকরি হয়েছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালে। শনিবার সন্ধ্যার দিকে বাসায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যের অনুপস্থিতিতে নিজ কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে ওয়াইনুচিং। রাতে পরিবারের সদস্যরা বাসায় এসে বার বার কলিং বেল দিলেও দরোজা না খোলায় খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় ওয়াইনুচিংয়ের লাশ উদ্ধার করে। এই সময় লাশে কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নোটবুক, যেখানে ওয়াইনুচিংয়ের সুইসাইড নোট লেখা রয়েছে।

নোটে ওয়াইনুচিং লিখেছেন, ‘আমি নিজের ইচ্ছেই এ পথ বেছে নিলাম। আমার মৃত্যুর জন্য এ বাসায় বা আমার পরিবার কেউ দায়ী নয়। আমি জাহিদ আর অন্য সমস্যা থাকার কারণে নিজে বাঁচার আর পথ দেখিনি। আমার যদিবা কিছু হয়ে যায় জাহিদকে ধরলে সব বের হয়ে যাবে।’

এই সুইসাইড নোট পাওয়ার পর পুলিশ জাহিদ নামের এই যুবকের সন্ধানে নেমেছে। তবে জাহিদ নামের কাউকে ওয়াইনুচিংয়ের বোন ও তাদের পরিবারের কেউ চিনেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছে।

এদিকে পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, সম্প্রতি রেলওয়ে হাসপাতালে ওয়াইনুচিংয়ের চাকরি হওয়ার পেছনে জাহিদ নামের এক যুবকের সহায়তা ও সম্পৃক্ততা ছিল। এর পর থেকে জাহিদের সাথে ওয়াইনুচিংয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সম্পর্কের কোনো এক পর্যায়ে টানা-পোড়নের ঘটনায় ওয়াইনুচিং আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে পুলিশ ধারণা করছে।

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: