সংঘর্ষের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে: বিজিবি মহাপরিচালক

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৩:৩০ পিএম

ঠাকুরগাঁও বহরমপুরে বিজিবি ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষে বিজিবির গুলিতে তিন জন নিহতের ঘটনা অনাকাঙ্খিত বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। এই ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের একটি তদন্তটিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্ত এলাকার বহরমপুর গ্রামে বিজিবির গুলিতে তিনজন নিহতের ঘটনায় সরেজমিনে এসে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এ ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, বহরমপুর গ্রামের মাহাবুব আলী গত ৬ মাস আগে একটি গরু ক্রয় করেন। সেই গরু মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় যাদুরানী বাজারে বিক্রি করার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় বেতনা ক্যাম্পের বিজিবির সদস্যরা ভারতীয় গরু মনে করে ক্যাম্পে গরুটি নিয়ে যাওয়ার জন্য মাহাবুবের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে গেলে মাহাবুবের পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে বিজিবি গুলি ছুড়লে যাদুরানী বাজারের উদ্দেশে আসা দুইজন পথচারীসহ চারজন নিহত হন। আহত হন বিজিবি সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন।

ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মো. মাসুদ বলেন, বিজিবির একটি পেট্রল টিম চারটি গরু সিজ করে ফেরার পথে চোরাকারবারীরা এলাকাবাসীকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ বিজিবির ওপর হামলা করে। তাদের অনুরোধ করা হলেও কোনো কথা শুনেনি। একপর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে বিজিবির অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় চারজন বিজিবি সদস্য আহত হওয়ার পর কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়। এতেও পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় বাধ্য হয়ে বিজিবি গুলি ছোড়ে।

হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, গুলিবিদ্ধ ১৫ জনের শরীর থেকে গুলি বের করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতরা হলেন- হরিপুর উপজেলার রুহিয়া এলাকার নজরুল ছেলে নবাব (৩৫), মৃত জহিরউদ্দীন ছেলে সাদেক (৪৫), বহরমপুর এলাকার নুর ইসলামের ছেলে জয়নুল (১২) ও আব্দুর রহিমের ছেলে সাদেকুল (৩২)।

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: