নতুন আইন হচ্ছে প্রতিবন্ধীদের জন্য

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০২:১৫ পিএম

প্রতিবন্ধীদের জন্য নতুন আইন করছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারের জন্য সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিকে ব্যবহার ফি, নিবন্ধন ফি, বার্ষিক সার্ভিস চার্জ, বার্ষিক সেবা নবায়ন চার্জ এবং প্রতিটি তথ্য-উপাত্ত প্রতিবার ব্যবহারের জন্য একটি নির্দিষ্ট চার্জ প্রদান করতে হবে।

নিবন্ধন ফি সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পে-অর্ডার বা ব্যাংকড্রাফটের মাধ্যমে এবং সেবা ফি (সার্ভিস চার্জ) মহাপরিচালক কর্তৃক নির্দিষ্ট মোবাইলে মোবাইল ব্যাংকিং অথবা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। এ তথ্যভান্ডার ব্যবহারের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পাদন করতে হবে।

চুক্তির কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে কর্তৃপক্ষ যেকোন সময় চুক্তি বাতিল করতে পারবে। উল্লেখিত শর্তাদি আরোপ করে প্রণীত নীতিমালাটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার নীতিমালা-২০১৮ নামে অভিহিত হবে। এরই মধ্যে নীতিমালার একটি খসড়া প্রস্তুত করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে। শিগগিরই নীতিমালাটি চূড়ান্ত হবে।

নীতিমালার বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী নূরুল কবির বলেন, আমরা নীতিমালা তৈরি করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। চূড়ান্ত অনুমোদন ছাড়া এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে শিগগিরই নীতিমালাটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।

প্রণীত খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, সরকারি সংস্থা কিংবা সংবিধিবদ্ধ সংস্থাকে এ তথ্যভান্ডার ব্যবহার করতে হলে নিবন্ধন ফি বাবদ ৫ লাখ টাকা, বার্ষিক সেবা চার্জ অথবা বার্ষিক সেবা নবায়ন চার্জ বাবদ ১ লাখ এবং প্রতিটি তথ্য-উপাত্ত প্রতিবার ব্যবহারের জন্য ১ টাকা করে চার্জ দিতে হবে।

কোনো নিবন্ধিত সংস্থা এ তথ্যভান্ডার ব্যবহারের জন্য নিবন্ধন ফি বাবদ ২ লাখ টাকা, বার্ষিক সেবা অথবা বার্ষিক সেবা নবায়ন ফি বাবদ ৫০ হাজার এবং প্রতিটি তথ্য-উপাত্ত প্রতিবার ব্যবহারের জন্য ১ টাকা করে চার্জ দিতে হবে। এছাড়া ব্যক্তিপর্যায়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারের জন্য আবেদন ফি বাবদ ২০০ টাকা এবং প্রতিটি তথ্য-উপাত্ত প্রতিবার ব্যবহারের জন্য ২ টাকা করে প্রদান করতে হবে। আদায়কৃত অর্থ পাওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে সরকারি তহবিলে জমা দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নীতিমালাটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারের পথ সুগম হবে। ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে আদায় হওয়া অর্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। নীতিমালা নিবন্ধিত সংস্থা বলতে ভলেন্টারি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার (রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স-১৯৬১ এর অধীনে নিবন্ধিত) সংস্থাকে বোঝাবে। প্রতিবন্ধীদের তথ্য-উপাত্ত বলতে ডিজেবল ইনফরমেশন সিস্টেম (ডিআইএস) সফটওয়্যারে সংরক্ষিত তথ্যভান্ডার বোঝাবে।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: