ঘরে শালী, সুযোগ নিল দুলাভাই! এরপর...

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৫:৪৮ পিএম

দরিদ্র পরিবারে মেয়ে নুরী। পেটের দায়ে ১৯৯২ সালে চাকরি নেয় মোহাম্মদপুরের কাটাসুরের একটি গার্মেন্টেসে। এখানে কিছু দিন যাওয়ার পরেই নুরীর পরিচয় হয় শহিদুলের সাথে। শহীদুল তার খালার মাধ্যমে নুরীর বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। তারপর ১৯৯২ সালের ১২ই মে বিয়ে হয় নুরী-শহীদুলের।

কিছুদিন ভালোই কাটে নুরীর। এরপর থেকেই নুরীর ওপর অত্যাচার শুরু করে শহীদুল। মাসের প্রথমেই নুরীর সব বেতনের টাকা নিয়ে নিত শহীদুল। এরপর দিনকে দিন বাড়তে থাকে অত্যাচারের পরিমাণ।

এরই মধ্যে নুরীর একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে নুরীর ছেলে আকাশ (ছদ্মনান)। আর পরিবর্তন হতে থাকে শহিদুল। একটা সময় শহিদুল বাইরে থেকে মেয়েদের এনে বাসায় আড্ডা দিতে শুরু করে।

এরই মধ্যে নুরী তার ছেলেকে দেখাশোনা করার জন্য তার ছোট বোনকে নিয়ে আসে তাদের বাসায়। কিন্তু তারপরেও কোন পরিবর্তন হয় না শহিদুলের।

একদিন শহিদুল জানায় সে গাজীপুরে একটা জমি কিনবে। যেখানে ভাড়া দিয়ে তাদের সংসার ভালো চলবে। আর এ জমি তিনি নুরীর নামে কিনবে। নুরী তখন তার বাবা বাড়ি আর ঋণ নিয়ে টাকা জোগাড় করে দেয় শহীদুলকে।কিছুদিন বাধে শহীদুল জমি কিনলেও নুরীর নামে না কিনে নিজের নামে কেনে।

শহিদুল-নুরীর সন্তান আকাশ যখন দশম শ্রেণীতে পড়ে তখন দ্বিতীয়বারের মতো সন্তান সম্ভাবা হয় নুরী। সে ডাক্তারের কাছে গেলে তার সঙ্গে যায় তার ছোট বোন রিনাও (ছদ্মনাম)। এসময় ডাক্তার জানায় রিনাও সন্তান সম্ভাবা। তার পেটে পাঁচ মাসের বাচ্চা আছে। পুরো বিষয়টা বুঝতে পারে নুরী।

এরপর থেকে সবসময় নুরীর কাছ থেকে দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করতো শহীদুল। কখনো নুরীর সামনে এসে ঠিকভাবে কথা বলত না। তারপর রিনার বাচ্চাটাকে নষ্ট করে ফেলে নুরীর পরিবার। মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে রিনা।

এরই মধ্যে হঠাৎ উধাও হয় শহীদুল। ফোন জানায় সে আর ফিরবে না। সেই থেকে আজও অবধি নুরী আর তার পরিবার কোন খোঁজ পায়নি শহীদুলের।(এই লেখাটি বেসরকারি একটি টেলিভিশনের ফাঁদ অনুষ্ঠানের অবলম্বনে করা)

বিডি২৪লাইভ/এইচকে/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: