বেড়েই চলেছে মশার উপদ্রব, অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০২:৪২ পিএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্তের শুরুতে বেড়েই চলেছে মশার উপদ্রব। মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন ক্যাম্পাসের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। দিনের বেলা তো বটেই, রাতের বেলা মশার কামড়ে হল রুমে শিক্ষার্থীদের টিকে থাকা দায়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে আবাসিক হলগুলোতে দেখা দিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত মশার উৎপাত।

ফলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা থেকে শুরু করে হলে অবস্থান করাও কঠিন হয়ে পরছে। পড়ালেখা করতে না পেরে রীতিমতো অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। 

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা রাতের বেলা কয়েল, মশারি কিছুতেই দিয়ে মশার কামড় থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এমনকি দিনের বেলা আহার শেষে একটু বিশ্রামের জন্য বিছানায় শুয়ে কোন শান্তি নেই। শুধু মাথার চারপাশে মশার উপদ্রব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আফম কামালউদ্দিন হলে অবস্থানরত আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার শিহাবকে মশা নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, হলে দিন, রাত কোন সময় অবস্থান করা যাচ্ছে না। এভাবে আর কিছুদিন চলতে থাকলে ডেঙ্গুজ্বরের কবলে পড়বো।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী হলের বাংলা বিভাগের মমিনুর রহমান লাজু বলেন, প্রশাসন এখনো মশা নিধনের কোন ওষুধ স্প্রে করে নি। প্রশাসন কি আমাদের কষ্ট দেখে মজা পাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের মাহমুদুল হাসান রিফাত বলেন, মশার অত্যাচারে দিনেও মশারি টানিয়ে রাখতে হয়, রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছি না।
  
সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মশা নিধনের জন্য ওষুধ প্রয়োগ না করায় দিন দিন বেড়েই চলেছে মশার উৎপাত। তাছাড়া ক্যাম্পাসের ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক হওয়ায় এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনার স্তুুপ থাকায় মশার উপদ্রব দিন দিন বেড়েই চলেছে। অতিরিক্ত মশার কামড়ে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। মশার নিধনের জন্য প্রশাসনকে জানালেও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ দেখছেন না শিক্ষার্থীরা বলে প্রশাসনের দিকে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আমিন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খুব ভালভাবে অবগত। ইতোমধ্যে মশা নিধনের জন্য সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। দুই একটি আবাসিক হলে স্প্রে দেওয়া শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সকল আবাসিক হলের আশেপাশে স্প্রে করা হবে।’

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: