যেভাবে সূত্রপাত এই ভয়াবহ আগুনের!

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:০১ পিএম

পুরান ঢাকার চকবাজারের ব্যস্ত এলাকায় চুড়িহাট্টায় যে ভবনে আগুনে লেগেছে তার থেকে তিনটি বাড়ি দূরে থাকেন কসমেটিকস ব্যবসায়ী ফিরোজ থাকেন। তার ভাই হীরা মারা গেছে আগুনে। তিনি বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন, অগ্নিকাণ্ডের পুরো ঘটনাই তার চোখের সামনে ঘটেছে।

ফিরোজ জানান, আগুন লাগার ঘটনাটি তিনি নিজেই দেখেছেন, কিন্তু এমন হবে তা ভাবতে পারেননি। 

তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে। চুড়িহাট্টার ওই কোনায় রাস্তায় একটি মাইক্রোবাস দাঁড়ানো ছিল। উপরে ছিল বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার। হঠাৎ ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়ে মাইক্রোবাসটিতে পড়ে। এর মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে পাশে কেমিক্যাল দোকান ছিল সেখানে লেগে গেলে মুহূর্তের মধ্যে তা পুরোপুরি ছড়িয়ে যায।’ 

যদিও ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ উভয় পক্ষই বলেছে, ওয়াহিদ ম্যানশন' নামে একটি ভবনের বেজমেন্টে কেমিক্যাল মজুত ছিল।

ফিরোজ বলেন, ‘ওয়াহিদ ম্যানশন এরপর প্লাস্টিকের মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়ল আরও বেশি। আর ওদিকে ক্যামিকেল মজুতে একটার পর একটা বিস্ফোরণ।এভাবে আশে পাশের ৮-১০টা দোকান। যতই পানি মারে আরও তা বিকট হয়। ওয়াহিদ ম্যানশন, হায়দার মেডিকেল, হোটেলে আগুন লেগে যায়। বন্ধু-বান্ধব সার্কেলের ২৫ জনকে পাচ্ছিনা।’

এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘ফার্মেসিতে থাকা লোকজন ভেবেছিল সামনে কেউ বোমা মেরেছে এবং এই ভেবে তারা দোকানের শাটার বন্ধ করে দেয়। আমার ভাই ফার্মেসির মধ্যে ছিল। শাটার বন্ধ করেছিল ভয়ে। আশঙ্কা করছি তারা ভেতরেই মারা গেছে কি না। ভোর ৫টা পর্যন্ত টানা অপেক্ষা করেছি কিন্তু মৃতদেহ পাইনি।’

বিডি২৪লাইভ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: