অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি চায় আরিফ

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৫:০৮ পিএম

যার চোখের আলো নেই। সে অন্ধত্বের বোঝা নিয়ে সারাটা জীবন কাটাতে হয়। তার জীবনটা হয়ে যা একটা অভিশাপের মতো। কেউ জন্ম থেকে অন্ধত্বের অভিশাপ ভোগে আবার কেউ বা বিভিন্ন অসুখ বিসুখ কিংবা বড় ধরণে কোন দুর্ঘটনায় চোখের আলোকে চিরকারে মতো হারিয়ে ফেলে। এমনই একজন মোঃ আরিফ। বর্তমান বয়স ৩ (তিন) বছর।

জন্মের ১ বছর পর থেকে তার চোখ দুটি বাঁকা হয়ে যায়। তখন তার দরিদ্র কৃষক বাবা বিভিন্ন ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা করাতে থাকেন। কিন্ত তার অবস্থা দিনে দিনে খারাপ হতে থাকে। তার সাথে ছেলে চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে গিয়ে বাবার আর্থিক অবস্থাও খারাপ হয়ে যায়। এমনিতে হতদরিদ্র কৃষক। তার উপরে ছেলে মহা অসুখ। কি করবে এখন?

বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের গাজীপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক মোঃ সাইফুল ইসলাম। তার অবুঝ নিষ্পাপ ছেলের চোখের আলো ধরে রাখতে পাগলের মতো ডাক্তারদের নিকট ছুটাছুটি করেও একটি চোখের আলো চিরতরে নিভে যায়। বাকি চোখের আলো ধরে টাকার মতো টাকা-পয়সা তার নেই। তাই দুই চোখে অন্ধকার দেখছেন। ছেলের বাকি চোখটিও কি কেটে ফেলে দিয়ে চির অন্ধত্বের কবলে রেখে দিবে না কি শেষ চেষ্টা করে দেখবে? কিন্ত কি করবে। চিকিৎসার করার মতো টাকা নেই তার। অভাবের সংসার। ডাল-ভাত যোগার করবে না ছেলের চিকিৎসার টাকা যোগাবেন।

ছেলেকে প্রথমে কুমিল্লা চক্ষু হসপিটালে চিকিৎসা করেন। কোন ভালো ফলাফল না পাওয়ায় পরবর্তীতে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডাঃ এ.এস.এম জিয়া উদ্দিন সিকাদার এর নিকট অনেক দিন চিকিৎসা করেন। কিন্ত তার অধীনে চিকিৎসা রোগীর উন্নত না হওয়ায় তিনি ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তাকে প্রেরণ করলে এ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাক্তার শওকত আরা শাকুর এর অধীনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার পরামর্শে ক্যান্সারে আক্রান্ত ডান চোখটি অপারেশন করে ফেলে দেওয়া হয়। এখন আবার বাম চোখটিও আক্রান্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাকি চোখ রক্ষা করার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। এই ব্যয় ভার নির্বাহ করা গরীব কৃষকের পক্ষে সম্বব না। তাই দেশের বিত্তবানদের সহযোগীতা প্রয়োজন।

সাহায্যে পাঠানোর ঠিকানা:
মোঃ সাইফুল ইসলাম খোকন (আরিফুলের বাবা), গ্রাম: গাজীপুর পূর্বপাড়া,ডাকঘর: খাড়াতাইয়া গাজীপুর, উপজেলা-বুড়িচং,জেলা-কুমিল্লা। সোনালী ব্যাংক বুড়িচং শাখা বুড়িচং শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নং-২০৯০, বিকাশ নম্বর: ০১৬৪৬-২৫১৯৫৭।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: