চার ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছে ১২২ জন

প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০১৯, ১২:৫৫ পিএম

পাঁচ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চার ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ১৩ মার্চ চতুর্থ ধাপের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, এবার চার ধাপ মিলিয়ে ৪৫৯ উপজেলায় ৫৮২০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চলতি মাসের ১০ মার্চ, ১৮ মার্চ, ২৪ মার্চ ও ৩১ মার্চ এসব উপজেলায় ভোট হবে। চতুর্থ ধাপে ১২২ উপজেলায় তিনটি পদে ১৪৪৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আরও ৪৮ একক প্রার্থী রয়েছেন। ৩১ মার্চ এসব উপজেলায় ভোট হবে।

তফসিল অনুযায়ী, চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৪ মার্চ। ৬ মার্চ বাছাইয়ের পর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৩ মার্চ।

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান গত মঙ্গলবার জানান, চতুর্থ ধাপের ১২২ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪১৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬০১ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪২৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে একক প্রার্থী রয়েছেন ২১ জন চেয়ারম্যান পদে, ১১ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ১৬ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, চার ধাপে অন্তত ১২২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পার হওয়ার পর প্রথম ধাপে ৩১ জন, দ্বিতীয় ধাপে ২৫ জন, তৃতীয় ধাপে ১৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। চতুর্থ ধাপে ৪৮ জন একক প্রার্থী রয়েছেন। এধাপের প্রত্যাহার ১৩ মার্চ শেষ হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। 

দেশের ৪৯২ উপজেলার মধ্যে চার ধাপের ভোট হচ্ছে মার্চে। ইতোমধ্যে ৪৫৯ উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিগুলোয় ভোট হবে জুনে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, তফসিল ঘোষিত ৪৫৯ উপজেলায় ৫৮২০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রথম ধাপে ৮৬ উপজেলায় ১০৮৮ জন প্রার্থী হন। এসব উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৮৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৮৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে ১২৪ উপজেলায় প্রার্থী হন ১৬২৬ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪৮৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৭৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৬৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তৃতীয় ধাপের ১২৭ উপজেলায় তিনটি পদে ১৬৬৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪৭৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৬ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৬১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া চতুর্থ ধাপে ১২২ উপজেলায় তিনটি পদে ১৪৪৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জানা যায়, ২০০৯ সালে ২২ জানুয়ারি এক দিনেই দেশের সব উপজেলায় ভোট হয়। তাতে ১২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৪ সালে পাঁচ ধাপে ভোট হয়। আওয়ামী লীগ-বিএনপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় দুই ধাপে; শেষে ব্যবধান বাড়িয়ে বেশিরভাগ উপজেলায় জয় পায় আওয়ামী লীগ।
এবার দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে উপজেলায়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি।

বিডি২৪লাইভ/আরএইচ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: