খাদ্যে ভেজাল রোধে আর কোন ছাড় দেয়া হবে না

প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৩:২৮ পিএম

খাদ্যে ভেজাল রোধে আমাদের আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল। খাদ্যে ভেজাল রোধে আর কোন ছাড় দেয়া হবে না। ভেজাল রোধে ঢাকায় কেন্দ্রীয় ভাবে একটি ল্যাব ও বিভাগীয় শহরের একটি করে ল্যাব স্থাপন করা হবে যাতে করে দ্রুততার সাথে ভেজার সনাক্ত করা যায়।

বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইএফপিআরআই) আয়োজিত একটি ওয়ার্কশপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

ওয়ার্কশপে তিনি বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদানের প্রধানতম এবং অন্যতম উৎস হচ্ছে কৃষি। সরকার কৃষি উন্নয়নে যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন হালনাগাত করেছে। ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের কৃষির টেকসই উন্নয়নের জন্য কৃষি রুপান্তর, কৃষি বহুমুখীকরণের, বাজারজাতকরণ এবং ভ্যালু অ্যাড ও ভ্যালু চেইন অপরিহার্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষি এখন বাণিজ্যিক কৃষি; খোড় পোষের কৃষি নয়। এমতবস্থায় জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বৈচিত্রপূর্ণ খাদ্যের উৎপাদন জরুরি। হালনাগাদ কৃষি নীতিটিতে বায়োটেকনোলজিতে গবেষণা ও উন্নয়নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষিতে নারীর ক্ষমতায়নেরও গুরুত্ব দিয়েছে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি আজ শুধু কৃষকের একার চিন্তার বিষয় নয়। কৃষির প্রশ্নে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারক যেমন কাজ করছেন, তেমনি সক্রিয় অবদান রাখছে বেসরকারি খাতও। বিজ্ঞান ও গবেষণা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক চিন্তা। বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমাদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্য কৃষি গবেষণার কোনো বিকল্প নেই।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আধুনিক জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সরকার জিএমওসহ কৃষি রুপান্তর, হাইব্রিড জাত নিয়ে এসেছে। আমাদের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু আমাদের কৃষকবৃন্দ উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাচ্ছে না। এর ফলে কৃষক অর্থিত সক্ষমতা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে কৃষিকাজে নিরুৎসাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে পুষ্টিকর খাদ্য বাজারে থেকে ক্রয়ের সামর্থ নেই, এ জন্য কৃষিজ পণ্যের বাজারজাত অপরিহার্য বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অনেক ফসল রযেছে, যেমন আমাদের চাহিদার চেয়ে ৩০ লাখ টন আলু বেশী উৎপন্ন হয় যার মাত্র ১ লাখ টন রপ্তানি করা যাচ্ছে। বাকি উদ্ধৃতাংশ উৎপাদন খরচ উঠাতে পারছে না কৃষক। মাথাপছিু আয় বৃদ্ধিতে কৃষির বিপ্লবের কোনো বিকল্প নেই।

বিডি২৪লাইভ/এসএইচআর/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: