দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন ১৮ মার্চ

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০১৯, ০৬:৩৭ পিএম

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে শনিবার (১৬ মার্চ) মধ্যরাতে। সোমবার (১৮ মার্চ) দ্বিতীয় ধাপে ১১৭ উপজেলায় সাধারণ নির্বাচন। এদিকে নির্বাচনী আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাল থেকে মাঠে নামছেন পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, আর্মড পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভোটের পরেও দুই দিন মাঠে থাকবেন তারা। সেই সঙ্গে ১১৭ জন ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ দিয়েছে কমিশন। কাল তারাও মাঠে নামবেন।

এ ছাড়া দ্বিতীয় ধাপে ২৩ জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সাধারণ ১২ জন ও সংরক্ষিত ১১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

রোববার ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালামাল পাঠানো হবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রিটানিং ও সহকারী রিটানিং অফিসারদের দেওয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশনা। ভোটে অনিয়ম হলে সেই দ্বায় রিটার্নিং ও সহকারি রিটার্নিং অফিসাকে নিতে হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে কমিশন।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। রিটানিং ও সহকারি রিটানিং অফিসারদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ইসির নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে তার দায়ভার রিটানিং ও সহকারি রিটানিং অফিসারদের নিতে হবে।

তিনি বলেন, শনিবার মধ্যরাতে প্রচার শেষ হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী (উপজেলায়) এলাকায় ভোটের দিন সাধারণ ছুটি রয়েছে। ভোট নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে নির্বাচনী এলাকায়। নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই হবে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে। সব দল উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

৩২ ঘণ্টা আগে প্রচারণা শেষ

ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে (১৬ মার্চ মধ্যরাত) সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে ভোটের ৭ দিন আগে থেকে বৈধ অস্ত্র লাইসেন্সধারীদের অস্ত্র বহন, প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ থাকবে সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ভেদে। সাধারণ কেন্দ্রে ১৪ জন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৫ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন নিয়োজিত থাকবে। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রতি এলাকায় দুই থেকে তিন প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাব এবং কোস্টগার্ড, পুলিশ, আমর্ড পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

এ ছাড়া রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে তিন দিনের জন্য মনিটরিং সেল এবং নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ইসি সচিবালয়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।

৫ দিনের জন্য মাঠে থাকবে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী

আাগামী ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণের আগে দুই দিন (১৬-১৭ মার্চ), ভোটের দিন (১৮ মার্চ) ও ভোটের পরের দিন (১৯-২০ মার্চ) মিলিয়ে পাঁচ দিন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন।

পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, আর্মড পুলিশ, ব্যাটালিয়ান আনসার থাকবে শৃঙ্খলা রক্ষায়। গ্রাম পুলিশও থাকবে ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায়। নির্বাহী ও বিচারিক হামিক থাকবে আচরণ বিধি প্রতিপালনে। রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন-পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: