কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০১৯, ০৪:৫৪ পিএম

কুমিল্লা নগরীর নুরপুর এলাকায় অবস্থিত নিবেদিতা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় জেসমিন আক্তার নয়ন (২১) নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনাটি ধাপাচাপা দিতে নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা এবং স্থানীয় পুলিশ, সাংবাদিকদেরকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। নিহতের বাবার বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুর ইউনিয়েনের কৈয়নি গ্রামে। তার শশুরবাড়ি নগরীর দ্বিতীয় মুরাদনগরে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে অন্ত:সত্ত্বা প্রবাসীর স্ত্রী নয়নকে নিবেদিতা হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে নার্স দিয়ে বাচ্ছা প্রসব করানোর চেষ্টা করা হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে এ চেষ্টা চলে। পরে প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কজনক অবস্থায় গেলে তাকে রাতেই কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতাল (কুমিল্লা টাওয়ার) এ পাঠানো হয়।

সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নয়নের মৃত্যুও খবরে আত্মীয় স্বজন তেলিকোনা নিবেদিতা হাসপাতালটি ঘিরে ফেললে ডাক্তার তমা ও হাসপাতালের পরিচালক অজিৎ কুমারকে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক সালাউদ্দিন নিরাপত্তার জন্য হাসপাতালের একটি কক্ষে আটক করে রাখে।

পরবর্তীতে নিবেদিতা হাসপাতালের পরিচালক অজিৎ কুমার ও ডা: তমায়ের অবহেলায় অন্ত:সত্ত্বা নয়নের মৃত্যুর ঘটনাটি ধামা-চাপা দিতে নিহত নয়নের চাচা সোহাগ মিয়াজীকে হাসপাতালের গোপন কক্ষে নিয়ে নগদ ৫ লক্ষ টাকা রফাদফা করে।

চিকিৎসক জানান, ঘন্টাখানেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের পরিবার প্রতিবাদ করলে এক কুসিক কাউন্সিলের মধ্যস্থতায় হাসপাতালের মালিক নিহতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা দেয়ার শর্তে সমঝোতা করে।

এ সময় কয়েকজন সাংবাদিককে ম্যানেজ করা হয়। রাতে নিহতের পরিবার এ বিষয়ে বিচার দাবি করলেও রাতে সমঝোতার পর এ বিষয়ে তারা আর মুখ খুলতে চায়নি। নিহতের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক সালাউদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, নিবেদিতা হাসপাতালে অন্ত:সত্বা মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়ায় দ্রুত পুলিশ সদস্যদের নিয়ে আসি, এখনো পর্যন্ত নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার অভিযোগ পায়নি। অন্ত:সত্বা নয়নকে চৌদ্দগ্রাম শ্রীপুরের কইওনি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা যায়। 

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: