গণবিস্ফোরণ শুরু হলে গণভবনের ইট পাথরও থাকবে না: রিজভী

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০১৯, ০১:৩৭ পিএম

সরকারের বিরুদ্ধে অভিমান, ক্ষোভ ও বিদ্রোহের জন্য জনগণ অগ্নিগর্ভ হয়ে আছে। যেকোন সময় জনতার বিস্ফোরণ শুরু হবে, যা কল্পনাও করতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘ভোট না দিতে পারার প্রতিশোধ আর মা কে (খালেদা জিয়া) বাঁচানোর অবিনাশী অঙ্গীকারে তারা এই অবৈধ স্বৈরাচারের তখতে তাউস খানখান করে ফেলবে। তাই সরকারকে বলছি, আজই নিজেদের শোধরান। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন।’

আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশের জনগণের আস্থার প্রতীক বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে উন্মত্ত হয়ে উঠেছে বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন অবৈধ সরকার।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে চরম প্রতিহিংসার বাসনা চরিতার্থ করতে পেয়ে বসেছে। তিনি পরিত্যক্ত অন্ধকার স্যাঁতসেতে কারাগারে ভয়াবহ ও চূড়ান্ত অসুস্থ দেশনেত্রীর যন্ত্রণার ছটফটানি দেখে আনন্দ উপভোগ করছেন। আজ দিবালোকের মতো পরিস্কার যে, তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে জীবিত দেখতে চান না। চিকিৎসার অভাবে গুরুতর অসুস্থ ৭৪ বছরের একজন নারী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রহসনমুলক বিচারের জন্য কারাগারে স্থাপিত মিডনাইট ইলেকশনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যাঙ্গারু আদালতে টেনে-হিঁচড়ে প্রায় প্রতিদিনই হাজির করা হচ্ছে। দেশনেত্রীকে চলৎশক্তিহীন করার জন্য তাঁর সুচিকিৎসা করানো হচ্ছে না। আদালতে আনার আগে তিনি অসুস্থতায় থরথর করে কাঁপছিলেন। বার বার বমি করছিলেন। মাথা সোজা রাখতে পারছিলেন না। মরণাপন্ন অবস্থার মধ্যে টেনে নিয়ে কোন চিকিৎসা না দিয়ে শেখ হাসিনার নির্দেশে জোর জবরদস্তি করে হুইল চেয়ারে বসিয়ে হাজির করা হয় ক্যাঙ্গারু কোর্টে।

তিনি বলেন, ‘গত পরশু আদালতে এনে বেগম জিয়াকে বসিয়ে রাখার পর তিনি চোখ মেলতে পারছিলেন না। মাথা স্থির রাখতে পারছিলেন না। বারবার মাথা কাত হয়ে যাচ্ছিল। আদালতে উপস্থিত আইনজীবীরাও তার এই অসুস্থ অবস্থা দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন। যার নির্দেশে খালেদা জিয়াকে হত্যা প্রক্রিয়া চলছে তিনি কি করে নিজেকে মানুষ বলে পরিচয় দেন? তিনি কি করে প্রধানমন্ত্রী থাকেন?

জনগণের ধৈর্য ও সহ্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। সরকার যেন নিজেদেরকে অশুভ পরিণতির দিকে ঠেলে না দেয়। গণবিস্ফোরণ শুরু হলে গণভবনের ইট পাথরও থাকবে না। জনগণ কতটা ঘৃণা করছে এই সরকারকে তার সামান্য প্রমাণ হচ্ছে উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে না এসে তীব্র নীরব প্রতিবাদ করছে।’

রিজভী বলেন, বাকশালের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার এক আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান প্রবর্তিত বাকশাল কার্যকর থাকলে নির্বাচন নিয়ে কোন বিতর্ক থাকতো না, প্রশ্ন উঠত না। বাকশাল ছিল সর্বোত্তম পন্থা।’ প্রধানমন্ত্রী এতদিন পর খোলস ছেড়ে আসল রুপে বেরিয়ে এসেছেন। গণতন্ত্র-গণতন্ত্র বলে কথার কুহেলিকা ভেদ করে প্রধানমন্ত্রীর গণবিরোধী নাৎসীবাদের মূল চেহারাটা জনগণের নিকট উন্মোচিত হলো বলেন বিএনপির এই মুখপাত্র।

‘শেখ হাসিনার কথায় প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, একদলীয় স্বৈরতান্ত্রিক বাকশাল পুন:প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বিনা ভোটে বিনা প্রতিদ্বিন্দ্বতায় আজীবন ক্ষমতায় থাকার খোয়াব দেখছেন শেখ হাসিনা।’

বিডি২৪লাইভ/এমই/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: