কাশ্মীর খোলা কারাগারে পরিণত হবে: মেহবুবা

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০১৯, ০১:৩০ পিএম

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ক্ষেপেছেন কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্র যদি মনে করে জুম্ম-কাশ্মীরের লিবারেশন ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ করে জনগণের অধিকার ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তবে তা চরম ভুল হবে, কার্যত কাশ্মীর খোলা কারাগারে পরিণত হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাবেক মুখ্য মন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।

এদেকে পিডিপি সভাপতি ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছেন, ইয়াসিন মালিকের নেতৃত্বাধীন জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ) নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্ত খুবই ক্ষতিকর হয়েছে এবং এটা কাশ্মীরকে খোলা কারাগারে পরিণত করবে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় শুক্রবার কেন্দ্র জেকেএলএফ-কে সিদ্ধান্ত করে সরকার।

জন নিরাপত্তা আইনে গত ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয়েছিল ইয়াসিন মালিককে। বর্তমানে তিনি জম্মুর কট বালওয়াল জেলে রয়েছেন। পররাষ্ট্র সচিব রাজীব গৌবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার জেকেএলএফ-কে ১৯৬৭ সালের ইউএপিএর আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতির ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’ কিন্তু জেকেএলএফ-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন মুফতি।

এক টুইটে তিনি বলেন, ‘অনেক দিন আগেই হিংসার পথ ছেড়ে দিয়েছেন ইয়াসিন মালিক। প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী যখন আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন তখন ইয়াসিন মালিককে একটি পক্ষ হিসেবে ধরা হয়েছিল। এই সংগঠন নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে কী পাওয়া যাবে? এ ধরনের ক্ষতিকর পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে কাশ্মীর এক খোলা জেলে পরিণত হবে মাত্র।’ 

কর্মকর্তারা বলছেন যে জম্মু-কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ বাড়িয়ে তোলার জন্যই জেকেএলএফ-কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইউএপিএ’র তিন নং ধারানুসারে এই নিষিদ্ধি বলে জানিয়েছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নিরাপত্তা বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের কমিটির বৈঠকে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (ইউপিএ) আওতায় জেকেএলএফ-কে নিষিদ্ধ করা হয়।

বিডি২৪লাইভ/এসবি/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: