ভূতে ধরার অজুহাতে স্ত্রীকে শেকলে বেঁধে রেখেছেন স্বামী!

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০১৯, ১২:৪১ পিএম

টানা ২০ দিন শুধু শেকল দিয়ে স্ত্রীকে শুধু বেঁধেই রাখেননি, তার ওপর চালিয়েছেন অমানুষিক নির্যাতনও। পরে আশেপাশের বাসিন্দাদের খবরে রোববার (২৪ মার্চ) ওই নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বলা হয়েছিলো ওই নারীকে ‘ভূতে ধরেছে’।

পুলিশের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, শেরান ওয়ালী গালির বাসায় স্ত্রীকে অন্তত ২০ দিন ধরে তালা দিয়ে রেখেছিলেন সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি। এ ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের শাহিওয়ালে।

পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ‌‍‘ভূতে ধরেছে’ এই অজুহাতে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন এবং নিয়মিত তাকে নিষ্ঠুরভাবে মারধর করতেন। তিনি দুই সন্তানকেও ওই নারীর কাছ থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন, যার মধ্যে একজন দুধের শিশুও রয়েছে।

এর আগে ওই নারী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন এবং আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে রিপোর্টে জানানো হয়। তবে এটি অস্বীকার করেছেন ওই নারী।

তদন্ত কর্মকর্তা আফজাল গিল জানান, আগামীকাল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হবে ওই নারীকে। সেখানে তার মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন কিনা তা নির্ধারণ করা হবে।

বর্তমানে ওই নারী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তবে তার সন্তানরা স্বামীর পরিবারের সঙ্গেই রয়েছে।

জানা যায়, শেরান ওয়ালী গালির বাসায় স্ত্রীকে অন্তত ২০ দিন ধরে তালা দিয়ে রেখেছিলেন সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি। পরে আশেপাশের বাসিন্দারা পুলিশকে জানালে গাল্লা মান্দি থানার একটি দল ওই নারীকে উদ্ধার করে।

উদ্ধারের পর ওই নারী পুলিশকে বলেন, ‌‘আমার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে বেঁধে রেখে মারধর করত।’

এ ঘটনায় গতকালই অভিযুক্ত স্বামী ও তার ছোট ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে এদিন সন্ধ্যায় পাকিস্তান দণ্ডবিধির ধারা ৩৪২ অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ওই নারী একটি ঘরের মেঝেতে বসে আছে। আর তার পায়ে হাতকড়া পড়ানো, যেটি একটি শেকল দিয়ে প্রাচীরের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: