ভারত পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে: পাকিস্তান সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০১৯, ০৭:১৮ পিএম

শুরুটা হয়েছিল পুলওয়ামা হামলাকে কেন্দ্র করে। এরপর একে অপরকে হামলার মধ্য দিয়ে ভারত-পাক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে৷ ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে।

ভারতের সামরিক স্থাপনাগুলো আমাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে এবং আমরা যে তাদের ধ্বংস করার পুরোপুরি ক্ষমতা আমরা রাখি, এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে। পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশের পরই বিষয়টি আমরা তাদের বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর।

রাশিয়ান ওয়েবসাইট স্পুটনিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পাক-ভারত সম্পর্ক ছাড়াও পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কেও কথা বলেন তিনি। খবর ডন উর্দুর।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃসংযোগ অধিদফতর আইএসপিআরের প্রধান জানান, পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে যদি কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, তাহলে তা যেন উভয় দেশের জন্য সমানভাবে কার্যকর করা হয়। পাকিস্তানের হাত বেঁধে রেখে ভারতকে একা ছেড়ে দেয়া যাবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, পাকিস্তান শুধু নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছে। ১৯৯৮ সালে ভারত পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তি অর্জন করেছে। পাকিস্তানের হাতে এ শক্তি থাকায় উভয় দেশের মধ্যে কোনো বড় যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা যায়নি।

পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর এ অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত নয় জানিয়ে আসিফ গফুর বলেন, আমাদের পারমাণবিক শক্তি ভারতীয় উসকানি দমনের জন্য অন্যতম সহায়ক।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারত আকাশসীমা লংঘন করেছে জানিয়ে পাক বাহিনীর এ মুখপাত্র জানান, আমরা ভারতের মতো মিথ্যা দাবি করি না। আমাদের যুদ্ধ বিমানগুলো আকাশসীমাতেই ছিল। এর সব ভিডিও সংরক্ষিত আছে, কেউ দেখতে চাইলে আমরা তা দেখাতে প্রস্তুত আছি।

ভারতের আকাশসীমা লংঘনের তাৎক্ষণিক জবাব দেয়াতেই যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান হয়েছে বলে দাবি করেন এ সামরিক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, পাকিস্তান তাৎক্ষণিক জবাব দেয়ায় ভারত পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। অন্যথায় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতো।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: