চেয়ারম্যানের জড়িয়ে ধরা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুখ খুলল মেয়েটি

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০১৯, ০৭:২৮ পিএম

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম’কে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে ম্রো সম্প্রদায়ের এক তরুনী কর্তৃক ফুলের মালা দেয়া ও তাকে আবেগের বশত জড়িয়ে ধরার কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ভাইরাল হয়। বিষয়টি অপপ্রচার, মিথ্যা ও সাজানো উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার (২৫ মার্চ) বিকাল ৪টায় আলীকদম বাজারে সংবাদ সম্মেলন করেছে সেই  ম্রো  তরুনী রুনপাউ ম্রো (১৯)। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, রুনপাউ  ম্রো  এর বড় ভাই মেনরুং  ম্রো  (৩৫) পিতা- মেনচিং  ম্রো, মেরিন চর পাড়া, নয়াপাড়া ইউনিয়ন, আলীকদম, রেং চং  ম্রো  (৩২) পিতা- তুলা  ম্রো , ক্রাংচিং পাড়া, ৮নং ওয়ার্ড, আলীকদম সদর ইউনিয়ন, আলীকদম, সুরেন্দ্র ত্রিপুরা (১৯) পিতা- রামচন্দ্র ত্রিপুরা, ১০ কিলো ত্রিপুরা পাড়া, আলীকদম ও জমারাম ত্রিপুরা (৩৮) পিতা- ধর্মচরণ ত্রিপুরা, ধর্মচরণ পাড়া, আলীকদম, বান্দরবান। এছাড়া আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
   
রুনপাউ  ম্রো বাংলা পড়তে ও বলতে না জানার কারণে তার বড় ভাই মেনরুং ম্রো সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান। 

তিনি বলেন, গত ২৩ মার্চ ২০১৯ইং শনিবার দুপুরে নব নির্বাচিত আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম কে আমাদের উপজাতি সম্প্রদায়  ম্রো, চাকমা, মার্মা ও ত্রিপুরাদের পক্ষ থেকে মেরিন চর এলাকায় এক সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিগত সময়ে ২ বার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ২ বার আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যানের মোট ২০ বছর দায়িত্ব পালনকালে মো. আবুল কালাম আমাদের সম্প্রদায় ও পরিবারের কাছে তিনি আমাদের অভিভাবকের মত ছিলেন।

আমার বাবার সাথেও মো. আবুল কালাম চেয়ারম্যানের বাবার সু-সম্পর্ক ছিল। আমরা ৫ম উপজেলা নির্বাচনে তার জন্য কাজ করি। এবারও তিনি আবারও আমাদের প্রত্যেক্ষ ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেই খুশিতে এলাকার লোকজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে সেই অনুষ্ঠানে আমি রুনপাউ  ম্রো তাকে শ্রদ্ধা থেকে মাল্যদান করি। 
এই সময় আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লে তিনি আমাকে সান্তনা দেয়ার চেষ্টা করে। সে সময় মোবাইলে কয়েকটি ছবি ধারণ করা হয়। সেই ছবি গুলো ভালবাসা ও শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে মো. আবুল কালাম চেয়ারম্যান তার ফেইসবুক একাউন্টে পোস্ট করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি গুলো যাওয়ার সাথে সাথে চেয়ারম্যানের বিরোধী একটি পক্ষ তার প্রোফাইল হতে ছবি গুলো নিয়ে আজেবাজে লিখে পোস্ট দিলে, মুহুর্তে সেই গুলো ভাইরাল হয়ে পড়ে। সেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ২ থেকে ৩ শতাধিক লোকজন এবং আমার বাবা, মা, ভাই-বোনরাও উপস্থিত ছিল।

অতি অল্প সময়ে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, ফেইসবুক সহ সামাজিক নানা যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক অপ্রচার শুরু হয়। যাতে করে আমার সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যারা আমার বড় ভাইয়ের মত চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম ও আমাকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে আমাদের সম্মান ক্ষুন্ন করেছে তাদের বিচার সৃষ্টিকর্তা করবেন। পাশাপাশি আমি টেলিভিশন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, ফেইসবুক সহ সামাজিক নানা যোগাযোগ মাধ্যমে যারা এই বিষয়টি নিয়ে না জেনে লিখেছেন তাদের আরো দায়িত্বশীল হতে অনুরোধ করব। এই ঘটনায় যেইসব মিডিয়া নিউজ করেছে তারা কেউ আমার বক্তব্য নেয়নি।

এই বিষযে সরাসরি কথা হয় আলীকদম উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আবুল কালামের সাথে। তিনি বলেন, বিষয়টি বিরোধী পক্ষের অপপ্রচার। যারা নির্বাচনে আমার কাছে হেরেছে তারা ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে।  কু-চিন্তা থেকে আমি এই কাজ করলে ছবি গুলো কখনো আমার ফেইসবুকে পোস্ট দিতাম না। রুনপাউ ম্রো  আমাকে দাদা বলে ডাকে। কিছু মানুষ এত বাজে চিন্তা করতে পারে আমার জানা ছিলনা। আমি বিশেষ করে মিডিয়া ভাইদের আরো দায়িত্বশীল হতে এবং ঘটনার গভীরে প্রবেশ করে সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ করছি। 

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: