গোপালগঞ্জের ৫ উপজেলা নির্বাচনে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা 

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০১৯, ০৭:৫০ পিএম

গোপালগঞ্জের ৫টি উপজেলা গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী, মুকসুদপুর, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এ জেলায় দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শুধুমাত্র মুকসদুপুর ও সদর উপজেলায় জাতীয় পার্টি থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়। তবে ভোটের  হিসেবে তারা  কেউই হাজারের ঘর পার হতে পারেনি।

গোপালগঞ্জে সদর উপজেলায় বেসরকারি ফলাফলে দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৫০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৬২০ ভোট। পালকি প্রতীক নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নিতিশ রায়। তিনি পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ২৪৭ ভোট।  ৩৭ হাজার ২০ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নিরুন্নাহার (হাঁস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কলস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮৩২ ভোট।

কোটালীপাড়া উপজেলায় দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬০ হাজার ২১১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুজিবর রহমান হাওলাদার চিংড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ১৪১ ভোট।

কাশিয়ানী উপজেলায় টেলিফোন প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সুব্রত ঠাকুর হিল্টু। তিনি ভোট পেয়েছেন ২২ হাজার ৪১৬। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ মোক্তার হোসেন দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১ হাজার ৭১৬ ভোট।

মুকসুদপুর উপজেলায় আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ কাবির মিয়া। তিনি ভোট পেয়েছেন ৭০ হাজার ৬১৭।  পাঁচ উপজেলায় তিনি সর্বোচ্চ ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (মুক্ত মুন্সী) মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৯৯৭ ভোট।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ সোলায়মান বিশ্বাস। তিনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৬০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩২ ভোট।

সকাল থেকে ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় এই প্রথমবারে মত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জেলার পাঁচটি উপজেলায় মোট ভোটার ছিলো ৮ লাখ ৮০ হাজার ৯৪৫ জন।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: