সালমার দ্বিতীয় স্বামী সাগরের বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রীর মামলা!
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমা সম্প্রতি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ছেলে সানাউল্লাহ নূরে সাগরকে বিয়ে করেন। সাগর সালমার দ্বিতীয় স্বামী।
এটা পুরনো খবর। নতুন খবর হলো সালমার দ্বিতীয় স্বামী সানাউল্লাহ নূরী সাগরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আর মামলাটি দায়ের করেছেন প্রথম স্ত্রীর মা (শাশুড়ি)। মামলায় সাগরের বাবা সাখাওয়াত হোসেন এবং মা সুরাইয়াকেও আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, কক্সবাজারের মেয়ে, ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সঙ্গে ২০১৪ সালের ৩ জুন বিয়ে হয় তাঁর। প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়েই তিনি সালমাকে বিয়ে করেন। সংবাদমাধ্যমে সালমার সঙ্গে সাগরের বিয়ের খবরটি প্রকাশের পরই প্রথম স্ত্রীর পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। বিয়ের খবর প্রকাশের আগেই কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাগরের প্রথম স্ত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলা নম্বর-২৫৪, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ১১ (গ), ১১(গ)/৩০ ধারা। এ মামলায় সালমার দ্বিতীয় স্বামী সানাউল্লাহ নূরী ওরফে সাগর ও তার বাবা-মাকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ এ.এইচ.এম. মাহমুদুর রহমান।
মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩ জুন সানাউল্লাহ নূরে সাগরের সঙ্গে কক্সবাজারের মেয়ের ২০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে বিয়ের পর থেকে নানাভাবে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন সাগর। শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। মেয়ের কথা চিন্তা করে সাগরকে ৩ কিস্তিতে ১০ লাখ দেন। সেই টাকায় সানাউল্লাহ নূরে সাগর যুক্তরাজ্যে ‘বার অ্যাট ল’ পড়তে যান। এর মধ্যে বাংলাদেশে এসে কাউকে না জানিয়ে সাগর ক্লোজআপ তারকা সালমাকে গোপনে বিয়ে করেন এবং নিজেকে অবিবাহিত দাবি করেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের বদৌলতে সালমার সঙ্গে বিয়ের খবর জানাজানি হয়। সাগর ও তাঁর বাবা-মাকে খুঁজছে।
বাদি আরও উল্লেখ করেন, সাগর দেশে এসে কাউকে না জানিয়ে ক্লোজআপ তারকা সালমাকে গোপনে বিয়ে করেন এবং নিজেকে অবিবাহিত দাবি করেন। কিন্তু মিডিয়ার বদৌলতে এ খবর জানাজানি হয়ে যায়। ১৯৯১ সালের ১৫ জুন জন্মগ্রহণ করা সানাউল্লাহ নূরী ওরফে সাগরের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
তাসনিয়া মুনিয়াত (পুষ্মীর) বাবা কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যাপক এম. আখতার আলম। তিনি কুতুবদিয়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। মা দিলারা খানমও একজন স্কুল শিক্ষিকা।
গত বছর ৩১ ডিসেম্বর সালমা ও সাগরের বিয়ে হয়। এর আগে ২০১১ সালে লালন কন্যা মৌসুমী আক্তার সালমার সঙ্গে শিবলী সাদিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। এরপর ২০১৬ শিবলী সাদিকের সঙ্গে সালমার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
প্রথম স্ত্রী পুষ্মীর বাবা অধ্যাপক এম. আখতার আলম বলেন, ইতোমধ্যে মামলাটি রুজু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তও হয়েছে। সম্প্রতি ওই মামলার হাজিরার তারিখ ছিল আদালতে। কিন্তু আসামিরা আদালতে উপস্থিত হয়নি। সবকিছু বিবেচনা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় সেদিন।
তিনি আরও বলেন, উল্টো সেই ঘটনার পর আসামিরা আমাকে হুমকি-ধামকি দেয়। তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় জিডিও করেছি।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বলেন, মামলা হয়েছে বিষয়টি গণমাধ্যম থেকে শুনেছি। গ্রেফতারি পরোয়ানা চিঠি এখনও থানায় আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে সালমা জানান, খবরটি পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার বিয়ের ইতোমধ্যে কয়েক মাস পার হয়ে গেছে। তাহলে এতোদিন পরে এ খবর আসলো কোথা থেকে। হঠাৎ করে শুনলাম এ মামলার কথা। বিষয়টি সত্যিই কেমন যেন মনে হচ্ছে আমার কাছে। মামলা ও বিয়ের খবরটি আমার জানা নেই। আমার স্বামী তো সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বাইরে, তাঁর বিরুদ্ধে কীভাবে নারী নির্যাতনের মামলা করে?
কুষ্টিয়ার মেয়ে মৌসুমী আক্তার সালমা সংগীত রিয়েলিটি শো ‘ক্লোজআপ ওয়ান—তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’-এর দ্বিতীয় আসরের চ্যাম্পিয়ন। এরপর কয়েকটি লোকগান গেয়ে সালমা পরিচিতি পান। ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি সালমা ও শিবলী সাদিক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। স্নেহা নামে তাঁদের ঘরে সাত বছরের কন্যাসন্তান আছে। বর্তমানে মেয়ে তার বাবার কাছে রয়েছে।
বিডি২৪লাইভ/এআইআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: