পরকীয়া আসক্ত স্বামীর নির্মম নির্যাতনের বলি খাদিজা

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০১৯, ১২:৪০ এএম

ফরহাদকে ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলো খাদিজা আক্তার। কিন্তু তার এই প্রেমিক বরটি যে তার ভালোবাসাকে তুচ্ছু করে বিয়ের ৪ বছরের মধ্যেই অন্য নারীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হবে এবং এর জেরে ভালোবাসার মানুষটির হাতেই তাকে জীবন দিতে হবে, তা কী সে জানতো? কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। যাকে ভালোবাসে বিয়ে করেছিলো তার পাশবিক নির্যাতেনেই জীবনাবসান হলো খাদিজার।

নির্মম এই ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার কাশিপুর হাটখোলা এলাকায়। ১২ মার্চ স্বামী ফরহাদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হন খাদিজা আক্তার। মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টানা ১২ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে রোববার (২৪ মার্চ) সকাল আটটার দিকে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

খাদিজা নগরীর পাইকপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল রশিদের মেয়ে। ১২ মার্চ তাকে শ্বশুরবাড়ির খাটের নিচ থেকে তার মা নূরজাহান মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। নূরজাহান জানিয়েছেন, এদিন মেয়েকে দেখতে হাটখোলা যাই। কিন্তু আমাকে মেয়ের ঘরে যেতে দিচ্ছিলেন না। এতে সন্দেহ হয়। পরে একপ্রকার জোর করেই আমি ঘরে প্রবেশ করি এবং দেখতে পাই মেয়েকে মেরে আধমরা করে খাটের নিচে ফেলে রেখেছে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করি এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই।

এদিকে শনিবার (২৩ মার্চ) খাদিজা আক্তারের ভগ্নিপতি বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ফরহাদসহ তার পরিবারের ৪জনকে অভিযুক্ত করেন। ফরহাদ হোসেন কাশিপুর হাটখোলা এলাকার ইয়ার হোসেন ভুট্টুর ছেলে এবং নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের কর্মচারি।

খাদিজার বোন জামাই বলেন, তার শ্যালিকা খাদিজা ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন ফরহাদকে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই নানা সময়ে যৌতুক দাবি করতো সে। যৌতুকের দাবিতে খাদিজাকে প্রায় সময় মারধরও করতেন ফরহাদ। তাদের বিবাহিত জীবনে দেড় বছরের একটি পুত্র সন্তানও আছে। এরমধ্যে পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়েন ফরহাদ। মূলত পরকীয়া আর যৌতুক নিয়েই প্রায় সময় খাদিজাকে নির্যাতন চালানো হতো।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের জানান, শনিবার এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। মেয়েটি মারা গেছে কিনা জানা নেই। তবে এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: