যেখানে পাবেন আগুন নেভানোর যন্ত্র

প্রকাশিত: ০১ এপ্রিল ২০১৯, ০১:৪৪ পিএম

অগ্নিকাণ্ড বর্তমানে এক আতঙ্কের নাম। বাসা, অফিস, কারখানাসহ বিভিন্ন ভবনে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। আর এ অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণ করতে সহজ এবং দ্রুত কার্যকরী মাধ্যম অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। অতি প্রচলিত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোতে সাধারণত সিলিন্ডারে উচ্চচাপে রক্ষিত তরল কার্বন ডাই-অক্সাইড নজ্‌ল দিয়ে স্প্রে আকারে বের করে আগুন নেভানো হয়।

ইংরেজিতে যাকে ‘ফায়ার এক্সটিংগুইসার’ বলা হয়। যন্ত্রটি ভবনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করে রাখতে হয়। এটি দেখতে সাধারণত ছোট্ট লাল সিলিন্ডার।

এর হ্যান্ডেল ডান হাতে ধরে বাম হাত দিয়ে টান দিয়ে সেফটি পিন খুলে ফেলতে হবে। এরপর বাম হাতে হোস পাইপ আগুনের দিকে তাক করে ডান হাত দিয়ে বাটন বা লিভার চাপতে হয়।

সতর্কতা: ফায়ার এক্সটিংগুইসার সবসময় বাতাসের অনুকূলে থেকে প্রয়োগ করতে হয়। যাতে কেমিক্যাল পাউডার বা গ্যাস বা ফোম উড়ে এসে নিজের গায়ে না পড়ে। আগুনের উৎপত্তিস্থলের সর্বোচ্চ ২ মিটার দূর থেকে ফায়ার এক্সটিংগুইসার প্রয়োগ করতে হয়। আগুন ছোট অবস্থায় থাকতে ফায়ারম্যানের অপেক্ষায় না থেকে হাতের কাছে থাকা ফায়ার এক্সটিংগুইসারের মাধ্যমে আগুন নেভানো যায়।

ফায়ার এক্সটিংগুইসার একবার ব্যবহার হয়ে গেলে একই সাথে পুরোটাই ব্যবহার করে ফেলতে হয়। এটি দ্বিতীয়বার ব্যবহারযোগ্য নয়।

কোন কারণে এক্সটিংগুইসার ব্যবহার করেও আগুনের নিয়ন্ত্রণ আনা না গেলে বা আগুন বেড়ে গেলে ধরে নিতে হবে আগুনের প্রাথমিক অবস্থা পেরিয়ে গেছে। তখন অবশ্যই নিরাপদ অবস্থানে চলে যেতে হবে এবং দ্রুত ফায়ারম্যানকে খবর দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।

কার্বন-ডাই-অক্সাইড টাইপ এক্সটিংগুইসার প্রয়োগ করা হলে আগুন নিভুক বা না-নিভুক, ঘটনাস্থলে বেশি সময় অপেক্ষা করা যাবে না। নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড খুব তাড়াতাড়ি আশপাশে অবস্থানকারী ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে।

উন্মুক্ত স্থানে বা ধাবমান বাতাসযুক্ত স্থানে কার্বন-ডাই-অক্সাইড টাইপ এক্সটিংগুইসার প্রয়োগ খুব একটা কার্যকর হয় না। এক্ষেত্রে বালি বা পানি (প্রয়োজন অনুযায়ী) ব্যবহারই উত্তম।

&dquote;&dquote;প্রকারভেদ: প্রতিটি ফায়ার এক্সটিংগুইসারের গায়ে লেখা থাকে তাতে কী ধরনের কেমিক্যাল রয়েছে। সিলিন্ডারের গায়ের রং দেখেও বুঝা যায় তা কী ধরনের এক্সটিংগুইসার। যেমন- লাল রং হচ্ছে ওয়াটার টাইপ, ক্রীম কালার হচ্ছে ফোম টাইপ, কালো রং হচ্ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড টাইপ এবং নীল রঙের এক্সটিংগুইসার হচ্ছে পাউডার টাইপ।

অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়াতে হাতের কাছে ফায়ার এক্সটিংগুইসার রাখতে ও ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

ফায়ার এক্সটিংগুইসার আপনারা বিভিন্ন অনলাইন শপে পেতে পারেন। যেমন অথবা ডটকম, দারাজ ডটকম, আজকেরডিল ডটকম, বিডিস্টল ডটকমসহ বেশকিছু অনলাইন শপে যন্ত্রটি পেয়ে যাবেন। যন্ত্রটি ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন।

নিচে কয়েকটি অনলাইন শপের লিঙ্ক দেওয়া হলো:

১। দারাজ ডটকম
২। অথবা ডটকম
৩। আজকেরডিল ডটকম
৪। বিডিস্টল ডটকম

এছাড়াও গুগলে fire extinguisher in bangladesh লিখে সার্চ করলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য পেয়ে যাবেন।

তবে অথবা ডটকম ফায়ার এক্সটিংগুইসার বিক্রিতে বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ১৫% কমে যন্ত্রটি বিক্রি করছে। তাই দেরি না করে এখনই প্রতিষ্ঠানসমূহের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন। অর্ডার করার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনার কাছে পৌঁছে যাবে আগুন নেভানোর যন্ত্রটি।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: