বৈশাখে ঘুরে যান মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায়

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:৩২ পিএম

পহেলা বৈশাখে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব দেখতে চাইলে চলে আসুন মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচার যমুনার পাড়ে। বৈশাখে ভ্রমণ পিপাসুরা দেখতে পাবেন আরিচার যমুনা নদীর স্বচ্ছ পানি ও পাটুরিয়া ঘাট এবং তেওতা জমিদার বাড়ির মনোরম দৃশ্য। যা চোখে না দেখলে ভাষায় বুঝানো যাবে না সৌন্দর্য। তেওতা জমিদার বাড়ির পুকুর পাড়ে রয়েছে সানবাঁধানো ঘাটলা, পুকুরে রয়েছে পদ্ম ফুল, নজরুল-প্রমিলা স্মৃতি-বিজড়িত সানবাঁধানো বকুল তোলা ও নজরুল মঞ্চ। আরও রয়েছে তেওতা জমিদার বাড়ি নবরত্ম মট।

১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আরিচা ঘাটের যমুনা নদীর পাড়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বর্ণিল বৈশাখী ঘুড়ি উৎসব। সেই সাথে আরো থাকছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।

শিবালয় ‘শতদল’ সামাজিক ও সাস্কৃতিক সংগঠন এ ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করেছে। ঘুড়ি উৎসবে ২৪ জন সেরা ঘুড়িয়ালদের বৈচিত্র্যময় ঘুড়ির জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।

ঢাকা জেলার পাশেই মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় আরিচা ঘাটের অবস্থান। এক সময় বাংলাদেশের নাভী বলে খ্যাত ছিল এ আরিচা ঘাট। ঢাকা থেকে সকালে রওয়ানা দিলে দিনে দিনেই বেড়িয়ে যাওয়া যাবে। আরিচা ঘাটের যমুনা নদীর পাড়ে দাঁড়ালে স্বচ্ছ ও ঘোলা পানি আর বালু আপনাকে সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার আর কুয়াকাটার কথা মনে করিয়ে দিবে। প্রিয়জনসহ নৌকা এবং স্পিডবোটে যমুনায় ঘুরে বেড়ানো যাবে।

পড়ন্ত বিকেলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে বোয়ালীর ব্রিজের কাছে রাস্তার দু’পাশে সবুজের চাদরে মোড়ানো বিস্তৃত ধান ক্ষেত আর সতেজ নির্মল বাতাসে ঘুরে বেড়ানো কতই না আনন্দ দেবে ভ্রমণপিপাসুদের।

মানিকগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দের্যে সমৃদ্ধ শিবালয় উপজেলার পিসিপোল কারখানা, আরিচা নৌ-বন্দর এলাকা, নিহালপুর-জাফরগঞ্জ বেড়িবাঁধ, পদ্মা-যমুনার বুকে জেগে উঠা বেশ কয়েকটি চর, তেওতা জমিদারবাড়ি এলাকা এবং পাটুরিয়া ঘাট এলাকার অবস্থানরত ছোট-বড় অসংখ্য নৌযান যেমন ফেরি, কে-টাইপ, ইউটিলিটি ফেরি সত্যিই ভ্রমণপিপাসুদের মুগ্ধ করার মতো। এ ছাড়াও রয়েছে প্রমত্তা পদ্মার বুকে নৌকা নিয়ে মৎসজীবীদের মাছ ধরার দৃশ্য।

বৈশাখের এই ছুটিতে যান্ত্রিক শহরের দুষিত বায়ু থেকে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও পরিত্রাণ পেতে নির্মল কোলাহল মুক্ত পরিবেশে পরিবার পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বেড়িয়ে আসুন ঢাকার অদূরে আরিচা ঘাটে। যমুনার স্বচ্ছ পানিতে মনের আনন্দে সাঁতার কাটতে পারবেন ভ্রমণপিপাসুরা। তবে সাঁতার না জানলে নদীতে না নামাই ভালো।

যাতায়াত ব্যবস্থা :
ঢাকার গাবতলী থেকে যাত্রী সেবা, নবীণ বরণ ও পদ্মা লাইন বাস রয়েছে। এছাড়া পাবনা এক্সপ্রেস ও শ্যালী পরিবহনের বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। এগুলোর ভাড়া ১শ’ টাকা করে। সাইনবোর্ড থেকে নীলাচল ও গুলিস্থান থেকে বিআরটিসি বাস সার্ভিস রয়েছে। তবে বিআরটিসিতে না উঠাই ভালো। মতিঝিল থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত রয়েছে এসিলিং বাস। যার ভাড়া ২শ’ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন পরিবহনের কোচ/বাসে উঠে চলে আসতে পারেন ঘাটে। ভাড়া ১শ’ টাকা।

খাবার সুবিধা :
পাটুরিয়া ঘাটের পদ্মা রিভার ভিউতে চাইনিজ থেকে শুরু করে বাংলা খাবারসহ সকল ধরনের খাবরই পাওয়া যাবে তবে দাম একটু বেশি। তার আশেপাশে ছোট-বড় অসংখ্য হোটেল রয়েছে। যেখানে অনায়াসেই সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার পাওয়া যাবে। এছাড়া আরিচা ঘাটের তাজা ছোট মাছের ঝোল এবং পদ্মার ইলিশ ভাজা না খেলেতো আপনার মনই ভরবে না।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: