উৎসবে মেতেছে বাঙালি

প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৩৮ এএম

আরেফিন সোহাগ: নতুন বছরের প্রথম প্রভাতে রমনার বটমূলে ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত আয়োজনের মধ্যদিয়ে শুরু হল বাঙালির বর্ষবরণ উৎসব। পঞ্জিকায় যুক্ত হল আরও একটি নতুন বছর ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।

১৪২৫ বিদায় ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দ বরণ উৎসবে মেতেছেন ঢাকাসহ দেশবাসী। সেই সাথে বাংলা নববর্ষে পান্তা ইলিশ খাওয়ার প্রচলন আগে থেকে চলে আসছে।

বৈশাখের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ।

সর্বস্তরের মানুষ হৃদয়ের টানে, বাঙালিয়ানার টানে মিলিত হবে এ উৎসবে। তাতে থাকবে না কোনো ধনী-গরিবের বৈষম্য। উৎসবে শামিল হয়ে বাঙালি তার আপন ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক নিজস্বতা ও গৌরবময় জাতিসত্তার পরিচয়ে আলোকিত হবে।

এই দিনে পোশাক-পরিচ্ছদ, খানাপিনা, গানবাদ্যসহ সব কিছুতে থাকবে বাঙালিয়ানার প্রাধান্য। দিনভর ঘোরাঘুরি, আড্ডা, আমন্ত্রণ ও তুমুল উচ্ছ্বাসে মেতে উঠবে জাতি। নারীরা পরিধান করবে লাল-সাদা শাড়ি, ছেলেদের থাকবে রংবেরঙের পাঞ্জাবি, ফতুয়াসহ বৈশাখের সাজসজ্জা। মা-বাবার সঙ্গে বেরিয়ে পরবে শিশু-কিশোরের দল। রাজধানীতে আজ বসবে নানা সাংস্কৃতিক উৎসব। মানুষ দল বেঁধে তাতে অংশ নেবে।

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশু পরিবারের শিশুদের নিয়ে ও কারাবন্দিদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এবং কয়েদিদের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্যাদি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: