টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ সুমাইয়ার

প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০১৯, ০২:১৯ পিএম

সুমাইয়া জাহান। মানিকগঞ্জ শিবালয়ের কৃঞ্চাদিয়া গ্রামে বাড়ি। বাবা অন্যের খেতে কৃষি কাজ করেন। মা গৃহিণী। দুই ভাই ৪ বোনের মধ্যে উপার্জনক্ষম একটি ভাই গার্মেন্টে চাকরি করেন। 

২০১৪ সালে বাড়িতে খড় শুকানোর কাজ করছিলেন ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া সুমাইয়া। কাজের এক ফাকে অন্যের কেন্দলের খোচায় মারাত্মক আঘাত পান চোখে। প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিলেও ঢাকায় রেফার করে চিকিৎসক। 

ফর্মগেইটের ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয় আগারগাঁওয়ের চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, প্রাপ্ত বয়ষ্ক হলে অপারেশন করা যাবে। কিছু ওষুধ দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় গ্রামে। সে বছর কোন রকম ৭ম শ্রেণির পরীক্ষা দিলেও ৮ম শ্রেণির পরীক্ষা দেয়া হয়নি তার। বই পড়া বা দীর্ঘক্ষণ তাকি থাকলে চোখ ও মাথা ব্যাথা করে সুমাইয়া জাহানের। 

তাই ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দিনের অধিকাংশ সময় ঘুমিয়েই কাটে তার। সম্প্রতি চোখের যন্ত্রণা বেড়ে যাওয়া নিয়ে আসা হয় আগারগাঁও চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন পরীক্ষা নিরিক্ষা বাদে শুধু চোখের অপরেশনের জন্যই লাগবে ৫০ হাজার টাকা।

দ্রুত অপারেশন না হলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে দুটি চোখই। কিন্তু দিন আনতে পানতা ফুরানো সুমাইয়ার পরিবারের পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা অসম্ভব ব্যাপার। তাই বিত্তবান ও হৃদয়বানদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন সুমাইয়া জাহান এবং তার পরিবার।

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: