লাইভে এসে কাঁদতে কাঁদতে বিচার চাইলেন আ’লীগ নেতা (ভিডিও)

সম্প্রতি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্থানীয় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন এক আ’লীগ নেতা।

লাইভে এসে তিনি জানান, গত ২০ বছর ধরে ডিপিডিসির একজন ঠিকাদার তিনি। সম্প্রতি ডিপিডিসির একটি প্রকল্পের ৯০ লাখ টাকার ঠিকাদারি কাজ পেয়েছেন। এ কথা জানার পর স্থানীয় চাঁদাবাজরা তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ডিপিডিসির অফিস থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে ওই চাঁদাবাজরা।

কাঁদতে কাঁদতে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জনতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাকে মারধর করতে দেখলেও কেউ এগিয়ে আসেননি।

এ সময় নিজেকে ঢাকা উত্তরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক বলে পরিচয় দেন মোহাম্মদ ওমর। ভিডিওর শেষ দিকে তিনি ওইসব চাঁদাবাজদের গুলশান ও বনানীর স্থানীয় সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করেন। পরে এ বিষয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

চাঁদাবাজদের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জনৈক রিয়াদের নেতৃত্বে স্থানীয় কিছু লোক তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত বৃহস্পতিবার গুলশান প্রকল্প অফিসের সামনে রিয়াদ ও তার লোকজন তার ওপর এ হামলা চালায়।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা উত্তরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর নিজের ফেসবুক পেজে এমন একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। তার লাইভটি শেয়ার করা হচ্ছে অগণিত। আর এটি রীতিমতো ভাইরাল।

আওয়ামী লীগের এই নেতা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) একজন ঠিকাদার। জানা গেছে, কোথাও থেকে সুবিচার না পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে আকুতি জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিডি২৪লাইভকে বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন হিসেবে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন...

বিডি২৪লাইভ/এইচকে