শিক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়ন তুলে ধরে সাংবাদিক সম্মেলন

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:৫২ পিএম

নেত্রকোণার ঐতিহ্যবাহী দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন তোলে ধরে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। এ সময় নেত্রকোণা জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার  সাংবাদিক ও শিক্ষক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নেত্রকোণার ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীঠ দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়। ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দে ৩রা জানুয়ারী শিশুদের শিক্ষা দানের জন্যে একটি পাঠশালা স্থাপন করেন। গঙ্গাচরণ চ্যাটার্জির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পাঠশালাটি এমই স্কুলে রূপান্তরিত হয়। ১৮৮৭ সালে ১লা জানুয়ারি নেত্রকোণা পৌরসভা স্থাপিত হয়। পৌরবাসীর ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার সুযোগ্য ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ও উপন্যাসিক রমেশ চন্দ্র দত্ত (আইসিএসসিআইই) ১৮৮৯ খ্রীষ্টাব্দে ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং তারই উপাধি ধরে এর নামকরণ করা হয় দত্ত হাই স্কুল। 

বর্তমানে অবকাঠামো, প্রযুক্তিগত, স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পদের দিক দিয়ে এটি বাংলাদেশের একটি অন্যতম অত্যাধুনিক বিদ্যাপীঠ। পাঠদান প্রক্রিয়াতেও প্রতিষ্ঠানটি প্রশংসনীয়। বর্তমানে শিশু শ্রেণি থেকে ১০ শ্রেণি পর্যন্ত বালক-বালিকা শাখায় পাঠদান চালু আছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা ৮৬ জন। ২০১৯ সালে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬০৯ জন। ২০১৮ সালে জেএসসি পাশের হার ৯৩%, জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৫ জন, মোট ছাত্র ৪৯৫ জন, পাশ করেছে ৪৬৩ জন, ২০১৮ সালে এসএসি ৪৪৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৪০৮ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৫ জন, স্কুলের সাধারণ তহবিলে ৬৯,২৪,৪৫৮.৬৫ টাকা, স্থায়ী আমানত ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা এছাড়াও স্কুলের মার্কেট অন্যান্য উৎস থেকে বছরে বিশাল অংকের আয় সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষায় যেমন এগিয়েছে তেমনি বিদ্যালয়টির অবকাঠামো সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। 

২৩ এপ্রিল দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান রতন নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্কুলের উন্নয়ন তোলে ধরেন।

তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, একটি কুচক্রী মহল তার বিরোদ্ধে নানা যড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ই-জোন নামে একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষাথীর্র হাজিরা সংযুক্ত করে দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন পাঠিয়েছে।

তিনি আরও জানান, যে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর সম্বলিত অতিরিক্ত কাগজ আবেদনের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই এবং যে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর উল্লেখ করেছে সে সকল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ লিখিতভাবে এসকল স্বাক্ষরের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভিত্তিহীন এসকল অভিযোগ তার বিদ্যালয়ের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করছে ও সামাজিকভাবে তার মান ক্ষুন্ন করছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছাড়াও তিনি নেত্রকোণা জেলা আ:লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি। তাই সাংবাদিক ভাইদের কাছে তার এহেন ভিত্তিহীন অভিযোগে সজাগ থাকার জন্য আহবান জানান।         

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: