লিটন-সৌম্যকে নিয়ে তামিমের ভবিষ্যদ্বাণী

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:০২ পিএম

বাংলাদেশের ড্যাসিং ওপেনার তামিম ইকবাল। গত এক যুগ ধরে টাইগারদের ওপেনিং পজিশনের একপ্রান্ত আগলে রয়েছেন তামিম। দেশের প্রায় সব রেকর্ড তার দখলে। অথচ এই তামিম ইকবালকে নিয়েই একসময় কত সমালোচনা হতো।

২০১৫ বিশ্বকাপেই তাকে দলে নেওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন অনেকেই। আর এখন তামিমকে ছাড়া বাংলাদেশ দল কল্পনাও করা যায় না। অনেকটা এক রকম ঘটনা ঘটছে সময়ের দুই তরুণ তারকা লিটন দাস আর সৌম্য সরকারের ক্ষেত্রে। দুজনের সামর্থ নিয়ে সন্দেহ নেই; কিন্তু ভুগছেন ধারাবাহিকতার অভাবে। দেশসেরা ওপেনার তাই বললেন, লিটন-সৌম্যে এবার বিশ্বকে দেখিয়ে দিক তাদের সামর্থ্য।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন সৌম্য সরকার, সেটাও আবার অপরাজিত। 

সৌম্যর ইনিংস নিয়ে তামিম বললেন, ‘এটা অনেক বড় অর্জন। যদিও সামনে আমরা খেলব একেবারেই ভিন্ন কন্ডিশনে, ভিন্ন বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে। তবে রান করাটা সব সময়ই ইতিবাচক। এটা আত্মবিশ্বাস জোগায়। সে কোথায় রান করেছে এটা ব্যাপার না, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে সে রান করেছে। ও যদি শেষ দুই ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরির জায়গায় ১০-৫ রান করে সফরে যেত, ওর মাথায় একটু হলেও চাপ থাকত। যখন আপনি রান করবেন, তখন বুঝবেন কীভাবে রান করতে হয়। যখন কারও খারাপ সময় যায়, তখন সে ওটা ভুলে যায় কীভাবে রান করতে হয়। এটা ওর জন্য ভালো হয়েছে।’

নিয়মিত সঙ্গী পরিবর্তন প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘নির্দিষ্ট ম্যাচে এটা কোনো সমস্যা তৈরি করে না। তবে ওপেনিংয়ে একজন নিয়মিত সঙ্গী থাকলে দুজনই খেলাটাকে ভালো বুঝতে পারব। অনেক সময় এমন থাকে যে আমার টাইমিং ভালো হচ্ছে না। হয়তো আমি মারছি, কিন্তু ফিল্ডারের কাছে চলে যাচ্ছে। তখন সঙ্গী একটা সুযোগ নিতে পারে। একইভাবে ওর সঙ্গে যদি এটা হয়, তবে আমার সুযোগ নিতে হয়। কিন্তু কেউ যদি নিজেই দলে থিতু না হয়, তাকে বলা ভারী অন্যায় যে ভাই তুমি মেরে খেলো। নিশ্চিত লিটন ও সৌম্য অনেক সুযোগ পেয়েছে। এখন সময় হয়েছে, সবাইকে দেখিয়ে দাও, তোমরা কত দুর্দান্ত। ওরা কত ভালো সেটা পৃথিবীকে দেখিয়ে দেওয়ার এটাই সময়।’

সৌম্য-লিটনকে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখেন তামিম ইকবাল। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা এই ব্যাটসম্যান একপ্রাকর ভবিষ্যদ্বাণী করেই বলেন, ‘ক্রিকেটে সেরা ওপেনিং জুটিগুলো দেখুন: হেইডেন-গিলক্রিস্ট, সৌরভ-শচীন, শেবাগ-শচীন। তাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ছিল অসাধারণ। যখন ওদের ম্যাচগুলো দেখবেন, আপনি মনে করবেন যে উইকেটে কী মজাটাই না করছে। আরেকজনের চাহিদা কী, সেটি বুঝতে পারছে। এ রকম সুযোগ আমাদের এখনো হয়নি। এই যে দুজন ওপেনার বিশ্বকাপে যাচ্ছে, তারা বাংলাদেশের হয়ে আগামী ১০-১৫ বছর খেলার সামর্থ্য রাখে। ওদের জন্য ভালো করার এটাই সেরা সময়।’

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: