চৌদ্দগ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:১৭ পিএম

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা হলে অভিযুক্ত মো. মূসাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে এলাকাবাসী।

জানা গেছে, অভিযুক্ত মূসা চৌদ্দগ্রাম থানার গুনবতী ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার হওয়া ১৩ বছর বয়সী ওই শিশু স্থানীয় গুনবতী ইউনিয়নের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযুক্ত মূসা দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন।

&dquote;&dquote;

জানা যায়, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নারায়ণপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত খাদ্য গোডাউনের পাশে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মূসা। পরে ওই শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যায় মূসা। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে মামলা করলে গ্রেফতার করা হয় তাকে।

ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবিতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে গুনবতী বাজারে মানববন্ধন করেছে গুনবতী ডিগ্রি কলেজ, গুনবতী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, গুনবতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং গুনবতী ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। তারা অভিযুক্ত মূসার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে, ঘটনার মীমাংসা করার জন্য ধর্ষণের শিকার হওয়া ছাত্রীর বাবাকে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজ বিডি২৪লাইভকে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতার করে ইতোমধ্যে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত মূসা উশৃঙ্খল ছিল বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি।

মামলা তুলে নিতে মেয়ের বাবাকে চাপ দেয়া হচ্ছে-এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে এ মামলার তদন্ত চলছে। পুলিশ ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে রয়েছে বলেও জানান ওসি।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: