দেখে নিন বিধ্বস্ত পুরীর বিপর্যস্ত সেই ছবিগুলো

ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগে মুহূর্তে যেন লন্ডভন্ড বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির অভাব ছিল না। তার পরেও ৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। প্রশাসনের হিসেবে ভুবনেশ্বর, কটক, জাজপুর, ভদ্রকে কয়েক হাজার গাছ পড়ে আটকে যায় সড়ক।

মোবাইল টাওয়ার উপড়ে ওড়িশার বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে বাকি বিশ্বের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ভুবনেশ্বরে ঝড় বয়েছিল ১৪০ কিলোমিটার গতিতে। পরে কটক ও জাজপুরের কাছে সেই গতি কমে ১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়ায়।

ফণীর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ওড়িশা সরকার জানিয়েছে, ঝড়ের দাপটে বিপুল ক্ষতি হয়েছে বিমানবন্দরের যন্ত্রপাতির।

প্রবল বেগে ঘূর্ণির মতো হাওয়া বইছিল সকাল থেকেই। গাছগুলো অসম্ভব বেগে দুলছিল। সঙ্গে সোঁ সোঁ আওয়াজ, তারপরই তাণ্ডব শুরু করে ফণী। ফণীর দাপটে সব মিলিয়ে আট জনের মৃত্যুর খবর এসেছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পুরী বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয় শুক্রবারে। মূলত শহরকেন্দ্রিক ছবিই উঠে এসেছে ফণীর ধ্বংসলীলার।

জগন্নাথ মন্দিরের সামনের রাস্তার দোকানপাট মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝড়ের দাপটে।

খুরদা রোডের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ও বিদ্যুতের টাওয়ার, হোর্ডিং ভেঙে পড়ে, উপড়ে যায় বিদ্যুতের খুঁটি।

একের পরে এক বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়া, যাবতীয় কাঠ-বাঁশের কাঠামো ভেঙে মাটিতে গুঁড়িয়ে যায় ফণীর ছোবলে। খেলনার মতো চেয়ার-টেবিল বাতাসে ভাসতে-ভাসতে বহু দূরে উড়ে গিয়েছে, এমন ছবিও ধরা পড়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এএস