সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ০৫ মে ২০১৯, ০৫:৩০ পিএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেয়ার বিষয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আমরা অতীতে বলেছিলাম যে, আমরা যাব না। সেই সিদ্ধান্ত ওই মুহূর্তে সঠিক ছিল না।’

আজ রবিবার (৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত ছাত্র ফোরাম আয়োজিত এক স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

গেল বছরের ৩০ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৬টি আসনে জয়ী হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
 
‘প্রহসনের নির্বাচন’ অভিহিত করে বিএনপি সিদ্ধান্ত নেয়, তারা জাতীয় সংসদে যাবে না। পাশাপাশি সংসদ সদস্য হিসেবে বিজয়ী ৬ জনের কেউই শপথ নেবেন না।

অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তে বাইরে গিয়ে গত ২৫ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির জাহিদুর রহমান।

এরপর দলীয় সিদ্ধান্তে গত ২৯ এপ্রিল বিকেলে সোয়া ৫টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভুঁইয়া এবং বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়।

পিন্টুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু সস্তা স্লোগান দিয়ে কথা বললে চলবে না। সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (তারেক রহমান)। কারণ, দুই দিকেই লড়াইটা করতে হবে। ভেতরে থেকেও কথা বলতে হবে, বাইরে থেকেও কথা বলতে হবে। এমনটাই বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অতীতে বলেছিলাম যে, আমরা যাব না। সেই সিদ্ধান্ত ওই মুহূর্তে সঠিক ছিল না। এটা বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই। লড়াইটা করতে হবে। আপনাকে সব জায়গায় থেকে লড়াই করতে হবে। সংগ্রাম করতে হবে। এ জন্য পথ তৈরি করে দিতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব এসময় অভিযোগ করেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক শক্তি নয়। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু তার উল্টোটা বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের অধিকারগুলো হরণ করে মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।

মির্জা ফখরুল আরও অভিযোগ করে বলেন, আজ বিচারব্যবস্থা, আইন ও নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করা হয়েছে। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এখানে গণতন্ত্র কাজ করতে পারে না।

বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, ‘পিন্টু এমনি মারা যাননি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করা হয়েছে।’

নাসিরউদ্দিন পিন্টুর স্মৃতিচারণ সভায় আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক নাহিদুর ইসলামের সভাপতিত্বে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: