রাজনীতিতে জড়ালে বাতিল হবে এনজিওর নিবন্ধন

প্রকাশিত: ০৬ মে ২০১৯, ০৩:৪১ পিএম

স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৯ নামে নতুন আইন করছে সরকার। ফলে রাজনীতিতে জড়ালে বাতিল হবে এনজিও’র নিবন্ধন।

নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, নিবন্ধিত কোনো সংস্থা নিবন্ধনের শর্ত ভঙ্গ করে আর্থিক অনিয়ম, সংস্থার গঠনতন্ত্র বা সরকারি আদেশ পালনে ব্যর্থ হলে, প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়ালে, দেশের সংবিধান বা প্রচলিত আইনের পরিপন্থি কোনো কাজে জড়ালে ওই সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদ বাতিল করে সরকার প্রশাসক নিয়োগ অথবা পাঁচ সদস্যের তত্ত্বাবধায়ক পরিষদ গঠন করা হবে।

তবে অভিযুক্ত সংস্থার পরিচালকদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। নতুন আইনের বিধানাবলী প্রতিপালন ছাড়া নিবন্ধিত কোনো সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না। একটি এনজিও নিবন্ধনের সময় একটি জেলার বাইরে কাজ করতে পারবে না। নিবন্ধিত হওয়ার পর পাঁচ জেলার বাইরে কাজ করতে পারবে না।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তার দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট ডেস্ক অফিসারের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডেস্ক অফিসার এজেডএম এরশাদ আহসান হাবিব বলেন, আইনটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অংশীজনের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বাংলা ভাষা কোষে (বাবাকো) পাঠিয়েছি। বাবাকো থেকে আসার পর তা অনুমোদনের জন্য শিগগিরই মন্ত্রিসভায় পাঠাব। আশা করছি, দ্রুত অনুমোদন পাওয়া যাবে।

নিয়ম মেনে যখন একটি সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ করা হবে, তার তিন মাসের মধ্যে ওই সংস্থার কাছে পাওনাদার, দাবিদার বা কোনো অভিযোগকারী পাওয়া না গেলে সংস্থাটি বিলুপ্ত করা হবে। নিবন্ধন বাতিলের তারিখ থেকে তা কার্যকর হবে। এরপর যে ব্যাংক, ব্যক্তির কাছে সংস্থার টাকা, ঋণপত্র, অন্য কোনো সম্পত্তি থাকবে সেই ব্যাংক, ব্যক্তি সরকারের লিখিত পূর্বানুমোদন ছাড়া তা হস্তান্তর করতে পারবে না। দায়, দেনা পরিশোধের পর বিলুপ্ত সংস্থার অবশিষ্ট অর্থ সরকার চাইলে একই উদ্দেশে পরিচালিত অন্য কোনো সংস্থার অনুকূলে বরাদ্দ দিতে পারবে। সরকার যুক্তিসঙ্গত মনে করলে বিলুপ্ত সংস্থার অর্থ, ঋণপত্র সম্পদ গ্রহণ করে তা কোনো সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনুকূলে ন্যস্ত করতে পারবে।

এছাড়া নতুন এ আইনে শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে। নিবন্ধিত সংস্থার কোনো সদস্য, কার্যনির্বাহী পরিষদের কোনো সদস্য যদি আইনের বিধান ভঙ্গ করে জনস্বার্থবিরোধী রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়ানোর বিষয় প্রমাণিত হয়, তা হলে তিনি কমপক্ষে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয়দ-দন্ডিত হবেন। খসড়া আইনটিতে কর্মকর্তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: