ননদ-ভাবির মিষ্টি সম্পর্কে করনীয়

প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারি ২০১৫, ০৫:৫৬ এএম

ফয়াজুন্নাহার আক্তার জিনিয়া:

বাংলায় একটি কথা আছে 'ঝিকে মেরে বৌকে শেখানো' - অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে সাধারনত শশুড়বাড়ির সাথে মেয়েদের সম্পর্কটা কেমন হয়। যদিও প্রবাদটি শুধু বউ-শাশুড়ি মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তবুও উপমা হিসেবে এদের ব্যাবহার করাটাই এদের সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।

বিয়ের পর নতুন পরিবেশে শশুড়বাড়ির কয়েকটি বহুল সমালোচিত সম্পর্কের সাথে মেয়েদের পরিচয় হয়, যে সম্পর্কগুলো সকলের কাছে দ্বন্দের সম্পর্ক হিসেবে পরিচিত। তবে এর ব্যতিক্রমও হয়ে থাকে। এই দ্বন্দের সম্পর্ক গুলোর মধ্যে একটি হল ননদ-ভাবির সম্পর্ক। তবে বিয়ের পর শশুড়বাড়িতে একটি মেয়ের বান্ধবির মতই থাকে তার ননদ। কিন্তু সেই ননদের সাথে যদি ভাবির সম্পর্ক খারাপ হয় তখন নব বধূটি অনেকটাই একা হয়ে পরে। তাই এই সম্পর্ক সহানুভূতির, সহমর্মিতার ও বন্ধুত্বের করতে হলে দুজনেরই করনীয়-

* অন্যবাড়ির মেয়ে ভাববেন না:
ননদ-ভাবী দুজনেই দুটি আলাদা পরিবারের মেয়ে। কিন্তু তাদের থাকতে হচ্ছে একসাথে এবং একই পরিবারে এবং একটি সম্পর্কে। সেই সম্পর্কের কথা চিন্তা করুন। আরেক ঘরের মেয়ে বলে পর ভাববেন না একে অপরকে।

* বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে ফেলুন:
সংসারে কথা শেয়ার করার মতো মানুষ পেতে চাইলে দুজনেই দুজনের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করে ফেলুন। তাহলে সম্পর্ক সহজ হবে এবং একে অপরকে বুঝতে আরও বেশি সুবিধা হবে।

* দুজনেই দুজনের ভালো দিকটি দেখার চেষ্টা করুন:
মানুষের ভালো খারাপ দুটো দিকই থাকে। আপনি তাকে কি চোখে দেখেন তার ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। খারাপ দিকটা না দেখে তাই ভালো দিকটা দেখার চেষ্টা করুন একে অপরের।

* একে অপরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন:
একটি সংসারে কাজ কিন্তু খুব কম থাকে না। সেই সব কাজ ননদ ভাবী দুজনে মিলে করতে পারেন। আর যদি চাকুরীজীবী মহিলা হোন দুজনেই তাহলে তো আরও বেশি মিলেমিশে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত।

* একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করুন:
কখন কার কি প্রয়োজন সে অনুযায়ী নিজেদের সুযোগ সুবিধা মতো গুছিয়ে নিন। দুজনের কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করুন। শুধু নিজের কথা ভাববেন না ভাবী বা ননদের কথা মাথায় রেখেই কাজ করুন।

* ভুলত্রুটি ধরে নিয়ে বসে থাকবেন না:
মানুষ ভুল করতেই পারে। কিন্তু তা ধরে নিয়ে বসে থাকলে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকবে। তাই ভুল ত্রুটি ধরে বসে থাকবেন না। একে অপরের দিকটা বুঝে ক্ষমা করে দেয়ার চেষ্টা করুন।

* একে অপরের সুযোগসুবিধার প্রতি নজর রাখুন:
কাজ, মানসিক সাপোর্ট ইত্যাদিতে একে অপরকে সুবিধা দিলে সম্পর্কে অনেক ভালো হয়। এছাড়া একে অপরের প্রয়োজনের সময় পাশে দাঁড়ালে পরিবারের বন্ধনও মজবুত হয়। তাই একে অপরের সুযোগ সুবিধা দেখতে ভুলবেন না।

* দুজনই দুজনকে তার পছন্দের জিনিস উপহার দিন:
ননদ কি পছন্দ করে বা ভাবি কি পছন্দ করে সেই বিষয়ে জেনে মাঝে মাঝেই উপহার দিয়ে চমকে দিতে পারেন। এতে সম্পর্ক যেমন গভীর হবে তেমনি দুজনের বন্ধুত্বও বাড়বে।

*বিশেষ দিনে চমকে দিন:
বিশেষ দিন যেমন- জন্মদিনে ছোটখাট একটা সারপ্রাইজ রেখে চমকে দিতে পারেন। এতে দুজনের সম্পর্ক আরো মধুর হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: