মেধাবী ছাত্র মেহেদীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারি ২০১৫, ০৫:৫৬ এএম

অন্য দশ জন ছেলের মতোই বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন মেধাবী ছাত্র মেহেদী। পড়ালেখা শেষ করে বিসিএস ক্যাডার হয়ে বৃদ্ধ বাবা-মার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। আর্থিক টানাপোড়নে বড় হওয়া মেহেদী ভালো চাকরি করে বাবা-মার মুখে হাসি দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিধিবাম, স্বপ্ন পূরণের দারপ্রান্তে এসেও আজ তিনি বড়ই অসহায়। মরণব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে আজ তার স্বপ্ন বিলীন হতে চলেছে। বিছানায় শুয়ে ব্লাড ক্যানসারের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এবং মৃত্যুর পহর গুণছেন। ব্যয়-বহুল চিকিৎসা হওয়ার কারণে বিনাচিকিৎসায় মরতে বসেছেন মেহেদী।

ইবির ইংরেজী বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র মেহেদী সর্বদা হাস্যজ্জ্বল থাকতেন। ক্লাস রুম থেকে শুরু চায়ের আড্ডা অবদি সবখানেই মেহেদী মাতিয়ে রাখতেন। কিন্তু সেই হাস্যজ্জ্বল ছেলেটি আজ ঢাকার মহাখালীর ‘ক্যান্সার হসপিট্যালে’ শুধু মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেহেদীর চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজন। যা পরিবারের পক্ষে কোনোভাবেই বহন করা সম্ভব নয়। তাইতো মেহেদীর পরিবার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

মেহেদীর বাবা মো. রওশন আলী বলেন, ‘স্বল্প টাকার বেতনে চাকরি করে কোনো রকম ছেলে- মেয়ে মানুষ করার চেষ্টা করেছি। কখনোই টাকা-পয়সা জমানোর সামর্থ হয়নি। কোনো রকম কষ্ট করে জীবন যাপন করেছি। এখন আমি এতো টাকা কোথায় পাবো? যা ছিল তা দিয়ে ইতোমধ্যে ছেলের চিকিৎসা করে শেষ করেছি। এখন আমি নি:ম্ব, অসহায়। দয়া করে আমার সন্তানকে বাঁচাতে আপনারা এগিয়ে আসুন।

মেহেদী সহপাঠীরা জানান, ‘পারিবারিক আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে কুষ্টিয়ার বেশকিছু কোচিং সেন্টারেও মেহেদী ইংলিশ ক্লাস নিতো। মেহেদী অত্যান্ত মেধাবী ছিল। তার স্বপ্ন ছিল

বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ভালো চাকরি করার। ইতোমধ্যে সে বিসিএসের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল। আমরা মেহেদী সুস্থভাবে আবারও ক্লাসে দেখতে চাই। দয়া করে আমাদের প্রিয় বন্ধুটিকে বাঁচাতে দয়া করে সবাই এগিয়ে আসুন।

মেহেদীকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:

বিকাশ : ০১৭২২৬৩৬৪১৭
ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং: ০১৭২২৬৩৬৪১৭-৯

মেহেদীর বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর:

মোঃ রওশন আলী
সঞ্চয়ী হিসাব নং- ৮৯৫৯
অগ্রণী বাংক
আলমডাঙ্গা শাখা
আলমডাঙ্গা
চূয়াডাঙ্গা ।

মোবাইল : ০১৭২২৬৩৬৪১৭ ও ০১৬৭৭১৩৮৮৩৮

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: