ঘরোয়া উপায়ে স্বরভঙ্গ রোগ দূর করুন

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০১৫, ১১:২৩ পিএম

গলার জীবাণু দূর করার ও স্বরভঙ্গ রোধ করার সবথেকে সহজ ও কার্যকরী উপায় হল গড়গড়া করা। এতে গলার ব্যাথাও দূর হয়। তবে গড়গড়া করার সময় যে উপাদানগুলো ব্যাবহার করলে দ্রুত স্বরভঙ্গ দূর হবে তা জেনে নিন-

১. লবণ ও পানি:
এক কাপ গরম পানির মধ্যে এক চতুর্থাংশ লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করুন। সাথে এক টেবিল চামচ লিস্টেরিন মিশিয়ে নিন। এতে মুখের জীবাণু মুক্ত হবে। মুখের জ্বালাপোড়াও কমে যাবে।

২. লেবু ও পানি:
এক কাপ গরম পানির সাথে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি শরবতের ন্যায় পান করুন। পানি অবশ্যই গরম হতে হবে। এতে গলার টিস্যু স্ফীত হবে। এর এ্যাসিডিক উপাদানের কারনে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর হয়।

৩. আদা, লেবু ও মধু:
আদা শুকিয়ে গুঁড়া করে এক চামচ আদার গুঁড়া, এক চামচ মধু ও অর্ধেক লেবুর রস ও আধা কাপ গরম পানি নিন। এবার, প্রথমে আদা গুঁড়ার সাথে পানি মিশিয়ে নিন। এরপর মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার গড়গড়া করুন। মধু গলার স্বর ঠিক করে। বাকি উপাদানগুলো গলার জীবাণুমুক্ত করে।

৪. ঝাল সস ও পানি:
গোল মরিচের গুঁড়া ব্যাথা ও প্রদাহ উপশম করতে সাহায্য করে। পাঁচটি গোল মরিচের গুঁড়ার সাথে এক কাপ গরম পানি মিশিয়ে গড়গড়া করুন। এর ফলে গলা জ্বালাতন করবে। কিন্তু, অবশ্যই স্বরভঙ্গ ঠিক হয়ে যাবে। ১৫ মিনিট পর পর এই মিশ্রণটি ব্যাবহার করুন।

৫. তুলসী পাতা ও পানি:
তুলসী পাতা স্বরভঙ্গ দূর করতে, ব্যাথা মুক্ত করতে ও নাকের স্ফীত দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তুলসী পাতার রস, চিনি, ফিটকিরি, ভিনেগার ও পানি একত্রে মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করা হয়। এই দ্রবণটি স্বরভঙ্গ রোধ করে।

৬. হলুদ ও পানি:
বৈজ্ঞানিক মতে, হলুদ বিভিন্ন মারাত্মক রোগ দূর করে। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরকে সুরক্ষা প্রদান করে। এক কাপ গরম পানিতে আধা চামচ লবণ ও আধা চামচ হলুদ মিশিয়ে গড়গড়া করুন। এতে স্বরভঙ্গ দূর হবে।

৭. লবঙ্গ চা:
এক থেকে তিন চামচ লবঙ্গের গুঁড়া গরম পানির সাথে মিশিয়ে গড়গড়া করুন। এতে যে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে তা গলা ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে। গলার প্রদাহজনিত সমস্যাও দূর করে।

ঘরে বসেই প্রাথমিকভাবে এই উপাদানগুলো ব্যাবহার করতে পারেন। এতে আপনার স্বরভঙ্গ দূর হবে। এছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিবেন।–সূত্র: আরডি।
সম্পাদনা: আরজু।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: