পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক সুন্দরতম গিরিখাত

প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০১৫, ০২:৪২ এএম

আন্টিলোপ গিরিখাত (Antelope canyon) আমেরিকার দক্ষিণ-এর একটি গভীর স্লট, এটি আমেরিকার দক্ষিণে অ্যারিজোনার নাভোজোতে অবস্থিত। এই গিরিখাতকে ক্যানিয়ন বা ক্র্যাক হিসাবেও পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। এই গিরিখাতের দুইটি ভাগ আছে। উপরের গিরিখাত (Upper Antelope Canyon) এবং নিচের গিরিখাত (Lower Antelope Canyon )।

উপরের আন্টিলোপ ক্যানিয়ন এর নাম ‘নাভাজো’ যার স্থানীয় অর্থ Tse bighánílíní , বা " পাথরের মধ্য দিয়ে জল প্রবাহের জায়গা"। এবং নিচের আন্টিলোপ ক্যানিয়ন এর নাম ‘হাযদিস্তাযি’ বা ‘সর্পিল শিলা খিলান’। এ অংশটি মূলত চিত্তবিনোদনের অংশ হিসেবে ব্যাবহার করা হয়।

আন্টিলোপ আমেরিকান দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলের একটি স্লট গভীর খাদ। এটা অ্যারিজোনা এর নাভাজো জমির পূর্ব অংশের উপর অবস্থিত। আন্টিলোপ গিরিখাতের দুটি পৃথক, বিচ্ছুরিত স্লট রয়েছে।

আন্টিলোপ ক্যানিয়ন নাভাজো বেলেপাথর (Navajo Sandstone) এর ক্ষয় দ্বারা গঠিত হয়, প্রথমত বন্যা এবং দ্বিতীয়ত অন্যান্য উপ-বায়বীয় প্রক্রিয়ার কারণে। বিশেষ করে বর্শা মৌসুমে সংকীর্ণ উত্তরণ এর মধ্যে বৃষ্টির জলের সাথে গিরিখাতের উপরিভাগের স্লটের ভিতর দিয়ে সঞ্চালিত হয়। সময়ের সাথে সাথে পানি যাতায়াতের পথগুলিতে শিলার আকার পরিবর্তিত হয়। পানি প্রবাহের কারণে কোথাও মসৃণ আবার কোথাও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে শিলাগুলি অদ্ভুত রূপ ধারণ করে।

গভীর খাদের ভিতরে এখনো বন্যা দেখা যায়। কোনো কোনো বন্যা অনেক সময় ধরে চলতে থাকে। অক্টোবর ৩০, ২০০৬ সালে এমন একটি বন্যা ঘটেছে যা ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী ছিলো। ফলে উপজাতীয় পার্ক কর্তৃপক্ষ পাঁচ মাসের জন্য আন্টিলোপ গিরিখাত এর দর্শনীয় সাইড বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।

আন্টিলোপ গিরিখাত আলোকচিত্র এবং দর্শনীয় স্থান হিসেবে একটি জনপ্রিয় অবস্থানে রয়েছে, এবং নাভাজো জাতির জন্য এটি পর্যটন ব্যবসার একটি প্রধান উৎস। বেসরকারী সফর কোম্পানিগুলোকে ১০৮৭ সাল থেকে ট্যুর অফার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এটা একটি নাভাজো উপজাতীয় পার্ক তৈরির পর ১৯৯৭ সাল থেকে সফর এর ব্যবহারযোগ্য হচ্ছে। এই গিরিখাতে প্রাকৃতিক ভাবে আলোক রশ্মির বিচ্ছুরণ ঘটে তাই এখানে ফটোগ্রাফির জন্য এক্সট্রা আলোর প্রয়োজন নেই।

পৃথিবীর সুন্দরতম গিরিখাত বলে মনে করা হয় এই গিরিখাতকে। যেটা আমেরিকার দক্ষিণে অ্যারিজোনার নাভোজোতে অবস্থিত। উপর থেকে ধেয়ে আসা বন্যায় বেলে পাথর ক্ষয়ে এই সুন্দর ও নান্দনিক গিরিগাত গঠিত। অদ্ভুত কৌণিক দেয়াল আছে। বাহারী রং, গঠন, রেখাচিত্র এবং দর্শনীয় সব দৃশ্য আছে যা একজন আলোকচিত্রীকে সহজেই আকর্ষণ করে। গ্রীষ্মকালে এর সৌন্দর্য বহুগুনে বেড়ে যায়। -সূত্র: উইকিপিডিয়া।
সম্পাদনা: তাহমিনা শাম্মী।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: