'চেঙ্গিস খান' এর অজানা তথ্য

চেঙ্গিস খান-কে আমরা সাধারণত ইতিহাসের খলনায়ক হিসেবেই চিনি। খলনায়কের উদাহরণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী আজও তার নাম উচ্চারিত হয়। এই চেঙ্গিস খান মূলত মঙ্গোল রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা বা মহান খান, ইতিহাসেও তিনি অন্যতম বিখ্যাত সেনাধ্যক্ষ ও সেনাপতি। তিনি মঙ্গোল গোষ্ঠীগুলোকে একত্রিত করে মঙ্গোল সম্রাজ্যের গোড়াপত্তন করেন। নিকট ইতিহাসে এটিই ছিল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সম্রাজ্য।
চেঙ্গিস খান আজও মানুষের কাছে এক রহস্যময় চরিত্র। আজও চেঙ্গিস খানকে নিয়ে উঠে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। চলুন জেনে নেই চেঙ্গিস খান সম্পর্কে কিছু অজানা কথা।
১। তিনি মঙ্গোলিয়ার বোরজিগিন বংশে জন্ম নিয়েছিলেন। এক সাধারণ গোত্রপতি থেকে নিজ নেতৃত্বগুণে বিশাল সেনাবাহিনী তৈরি করেন।
২। যদিও বিশ্বের কিছু অঞ্চলে চেঙ্গিজ খান অতি নির্মম ও রক্তপিপাসু বিজেতা হিসেবে চিহ্নিত তথাপি মঙ্গোলিয়ায় তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে সম্মানিত ও সকলের ভালোবাসার পাত্র। তাকে মঙ্গোল জাতির পিতা বলা হয়ে থাকে।
৩। একজন খান হিসেবে অধিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে চেঙ্গিস পূর্ব ও কেন্দ্রী্য় এশিয়ার অনেকগুলো যাযাবর জাতিগোষ্ঠীকে একটি সাধারণ সামাজিক পরিচয়ের অধীনে একত্রিত করেন। এই সামাজিক পরিচয়টি ছিল মঙ্গোল।
৪। ৪০- ৫০ বছর বয়সের সময় তিনি মঙ্গোল জাতির পত্তন ঘটানোর পর বিশ্বজয়ে বের হন। প্রথমেই জিন রাজবংশকে পরাজিত করেন। চীন থেকেই তিনি যুদ্ধবিদ্যা কূটনীতির মৌলিক কিছু শিক্ষা লাভ করেন। পালাক্রমে দখল করেন পশ্চিম জিয়া, উত্তর চীনেরজিন রাজবংশ, পারস্যের খোয়ারিজমীয় সম্রাজ্য এবং ইউরেশিয়ার কিছু অংশ।
৫। ১৯৯৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বর আমেরিকার নেতৃস্হানীয় সংবাদপত্র ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ এবং টেলিভিশন নিউজ চ্যানেল সিএনএন গত এক হাজার বছরের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসাবে চেঙ্গিস খানকে “ম্যান অব দ্য মিলেনিয়াম” হিসাবে নির্বাচিত করে । আধুনিক ইতিহাসবিদরা মনে করেন তার দোষ ত্রুটির তুলনায় সাফল্যের পরিমাণ অনেক অনেক বেশী ছিলো ।
৬। ১২২৭ সালে চেঙ্গিস খান ঘোড়ার পিঠ থেকে পরে মারা যান। চেঙ্গিস খাঁন তার জীবদ্দশায় ওসিয়ত করে গিয়েছিল কেউ যেন তার দাফনের যায়গা জানতে না পারে। এজন্য যারা তার দাফনে নিয়োজিত ২৯১৬ জন মানুষের, সবাইকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। চেঙ্গিস খানের সমাধিক্ষেত্র আজও রয়েছে অধরা,অনাবিষ্কৃত।
বিভিন্ন গুণাবলীর সমাবেশ থাকাসত্ত্বেও চেঙ্গিস খানের চরিত্র নিষ্ঠুরতা ও বিশ্বাসঘাতকতাকে অস্বীকার করা যায় না । বীভৎস ধ্বংসলীলা ও নিষ্ঠুরতার মধ্য দিয়ে তার প্রতিটি আক্রমণ ও বিজয় পরিচালিত হয়েছিল । এই কারণে ইউরোপীয় ঐতিহাসিকগণ তাকে ‘আল্লাহর অভিশাপ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।-সূত্র: হিস্টোরি ডটকম।
সম্পাদনা: তাহমিনা শাম্মী।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: