রাজধানীর ‘পুরাতন কয়েন’ বাজারের নতুন কথা!

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৫, ০৫:১২ এএম

সেই আদিকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসা কয়েন (পয়সা) এর ব্যবহার যেন এখন দিন দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক বছর আগেই এক সময় যেখানে একটি ৫০ পয়সা অথবা এক টাকার কয়েন দিয়ে লজেন্স, আইসক্রিম অথবা আরো প্রয়োজনীয় দু-একটা জিনিস ক্রয় করা যেত সেখানে এখন পয়সা বলা চলে প্রায় অচল হয়েই পড়েছে।

দেশের বেশ কিছু জেলায় এক ও দুই টাকার ধাতব কয়েন নিচ্ছেন না দোকানিরা। এছাড়া ব্যাংকের স্থানীয় শাখাগুলোতেও কয়েন গ্রহণে অনীহা দেখা গেছে বলে জানা গেছে। আর এসব কারণে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পয়সা জমিয়ে রাখা অভ্যস্ত শিশুরাও। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে মাটির ব্যাংকে পয়সা জমিয়ে রাখা ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে।

বলা যায়- এক টাকার নিচের যেমন ৫ পয়সা, ১০ পয়সা, ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা এগুলো যেন এখন পুরোটাই ইতিহাসের পাতায় চলে যাচ্ছে। আর তেমনি এক টাকা ও দু‘টাকার পয়সাও অচল হয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতে চলেছে।

তবে এই সকল কয়েন ইতহাসের পাতায় নাম লেখাতে চললেও রাজধানীর সবচেয়ে বড় টাকা-পয়সার বাজার বলে খ্যাত গুলিস্তানসহ আরো কয়েক স্থানে কয়েন কেনা-বেচার বাজার চলছে বেশ জমিয়ে। গুলিস্তানের পয়সার বাজার ঘুরে দেখা গেল পুরাতন অচল পয়সার বেশ জমজমাট বাজার। যেখানে দেখা মিলল ১০০/১৫০ বছর আগের অনেক পুরাতন পয়সাও। এক আনা, দুই আনা থেকে শুরু করে এক টাকা, দুই টাকার বিভিন্ন দেশের ছোট ও বড় কয়েনও দেখা মিলল।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে যায়- তাদের কাছে পাকিস্তান, ভারত, দুবাই, সিরিয়া, মিশর, বাহরাইন, জর্দান, আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্সসহ আরো বিভিন্ন দেশের কয়েন তাদের সংগ্রহে রয়েছে। তাদের সংগ্রহে দেখা মিলল ১৮৯৪ সালের বৃটেনের এক কয়েন। দেখা পাওয়া গেল ১৩১৫ হিজরী সনের এক পুরাতন পয়সাও এছাড়াও আরো দেখা মিলল বিভিন্ন দেশের পুরাতন কয়েন।

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ৮ থেকে ১০ বছর যাবৎ এই ব্যবসার সাথে জড়িয়ে থাকা ইমদাদ, মামুন, নুরুল ইসলাম, শফিকুল এই সকল পুরাতন ব্যবসায়ীর কাছে তাদের ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে জানান, এগুলো মূলত অচল কয়েন (পয়সা)। আমাদের কাছে অনেক পুরাতন কয়েনও সংগ্রহে আছে। ব্যবসা কেমন চলে জানতে চাইলে তারা জানান, ব্যবসা চলে মোটামুটি, খারাপা-ভালো মিশিয়ে, একেক সময় একেক রকম।

এসব পুরাতন অচল পয়সা কারা ক্রয় করে এবং এগুলোর দাম কত- জানতে চাইলে তারা জানান, এসব কয়েন ছাত্র/ছাত্রীরাই বেশি কিনে থাকেন। ছাত্র/ছাত্রীরা এসকল কয়েন তাদের কোনো গবেষনা এবং শখের বসে সংগ্রহ করে। তাবিজ-কবজ বানাতেও এই পুরাতন কয়েনের বেশ চাহিদা রয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া এই সকল কয়েনের দাম সম্পর্কে বলেন- বিভিন্ন দেশের পয়সা ভেদে ৫/১০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০/৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: