নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০১৬, ০৩:১২ পিএম

ঢাকা: যেকোনো সময় তা নদীগ‌র্ভে বিলীন হ‌য়ে ফেরি চলাচল বন্ধ হতে যেতে পারে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট। পদ্মার তীব্র স্রোতে ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে দৌলতদিয়ার সবকটি ফেরিঘাট। যেকোনো সময় তা নদীগ‌র্ভে বিলীন হ‌য়ে ফেরি চলাচল বন্ধ হতে পা‌রে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় থেকে জানা যায়, গত কয়েক দিনে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র স্রোত। এই স্রোতের সঙ্গে পলি এসে জমে নৌপথের বেশ কিছু স্থানে নাব্যতা সংকট ও ডুবোচর দেখা দিয়েছে। ডুবোচর এড়িয়ে ফেরি চলাচল করতে ও বিশেষ করে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি যাওয়ার সময় ধীরগতির কারণে প্রায় দেড় গুণ সময় বেশি লাগছে।

দৌলতদিয়া ঘাটের কাছেই সবচেয়ে বেশি স্রোত রয়েছে। এই স্রোতে মাত্রাতিরিক্ত গতিতে ফেরি চলতে হচ্ছে। রো রো (বড়) ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এই স্রোতের প্রতিকূলে চলাচল করতে পারছে না।

পাটুরিয়া থেকে যানবাহন বোঝাই করে এই ফেরি দৌলতদিয়া ছেড়ে গিয়ে মাঝপথ থেকে ফেরত এসেছে। স্রোতের প্রতিকূলে মাত্রাতিরিক্ত গতিতে চলতে গিয়ে ছোটখাটো যান্ত্রিক ত্রুটিও দেখা দিয়েছে এই ফেরি দুটির। এ কারণে ফেরিগুলো ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে। আর প্রায় একই কারণে বিকল তিনটি ইউটিলিটি (মাঝারি) ও একটি কে-টাইপ (ছোট) ফেরি পাটুরিয়ায় ভাসমান কারখানা মধুমতিতে যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত করা হচ্ছে। তার মধ্যে থেকে ইউটিলিটি মাধবীলতা ফেরি প্রায় চার মাস ধরে প্রোপেলার সমস্যায় বিকল হয়ে আছে। এই ফেরি মেরামতে নেদারল্যান্ডস থেকে যন্ত্রাংশ আনার দাপ্তরিক প্রক্রিয়া চলছে। আর যেকোনো সময় অন্য বিকল ফেরি মেরামত শেষে যানবাহন পারাপারে যোগ দিতে পারে।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল জানান, বর্তমানে এই নৌপথে যানবাহন পারাপার করছে সাতটি রো রো, তিনটি ইউটিলিটি ও দুটি কে-টাইপ ফেরি। এই অবস্থায় তীব্র স্রোতে সচল ফেরিগুলো দিয়ে যানবাহন পারাপার কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে উভয় পাড়ের ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ পড়ছে। সাপ্তাহিক ছুটিতে যানবাহনের বাড়তি চাপ পড়েছিল। ছুটি শেষ হওয়ায় তা কিছুটা কমেছে।

রোববার সকাল থেকে যানবাহনের চাপ অনেকটাই কম ছিল। দুপুর আড়াইটার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে বাস, ট্রাকসহ ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২৫০ যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় ছিল, যা শনিবার এই সময়ে ছিল দ্বিগুণ।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সফিকুল ইসলাম জানান, নৌপথ ও ঘাট তদারকি সংস্থা বিআইডব্লিউটিএ নদীর ভাঙনরোধে গত শুক্রবার দৌলতদিয়ার চার নম্বর ফেরিঘাটে বালুর বস্তা এবং বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ দিয়েছে। তারপরও হুমকির মুখে রয়েছে এখানকার চারটি ঘাট। যেকোনো সময় ভাঙনের কবলে পড়ে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: