অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে লক্ষাধিক নিয়োগ প্রত্যাশীর

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৭, ১১:৩৬ এএম

দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষ হতে যাচ্ছে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কয়েক লাখ নতুন নিয়োগ প্রত্যাশীদের। তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শিঘ্রই সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি তাদের নিয়োগ পরীক্ষা অুনষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। প্রায় ৫ হাজার পদের বিপরীতে ১০ লাখ দশ হাজার নিয়োগ প্রত্যাশী পরীক্ষা দিবে। সূত্রে আরো জানা গেছে, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে বর্তমানে সাড়ে ৫ হাজার জনবল রয়েছে। এবার আরও ৬ হাজার নিয়োগ দেয়া হতে পারে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন একটি বাড়ি একটি খামার (৩য় সংশোধিত) প্রকল্পের অধীনে সাতটি পদে মোট ৪ হাজার ৮৪৩ জন নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর মধ্যে মাঠ সহকারী পদে ৪ হাজার ৬০৩ জন, ফিল্ড সুপারভাইজার পদে ১১৯ জন, জেলা সমন্বয়কারী পদে ৬৪ জন, কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব সহকারী পদে ২৯ জন, উপজেলা সমন্বয়কারী পদে ১৮ জন, সহকারী প্রকল্প পরিচালক পদে ৫ জন এবং নৈশপ্রহরী পদে ৫ জনকে নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর আগে দু’বার (২০১৩ ও ২০১৬ সালে) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প।

এ বিষয়ে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের পরিচালক আকবর হোসাইন বিডি২৪লাইভকে জানান, নিয়োগ পরীক্ষা চলতি বছরের ডিসেম্বরের ২৯ তারিখে নেওয়ার কথা ছিলো কিন্তু বিসিএস পরীক্ষার কারণে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে আগামী ২০১৮ সালের ৫ জানুযারি নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। সময়মত তা জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রশ্ন পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার মতো বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও চলতি ঘটনাবলি মিলিয়ে প্রশ্ন করা হবে। তবে পদ ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রশ্নের ধরনে ভিন্নতা থাকবে। সহকারি প্রকল্প পরিচালক, জেলা সমন্বয়কারী, উপজেলা সমন্বয়কারী, ফিল্ড সুপারভাইজার ও মাঠ সহকারি পদে ৭৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। তবে কম্পিউটার অপারেটর-কাম-হিসাব সহকারি পদে লিখিত পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরের আর ব্যবহারিক পরীক্ষায় থাকবে ২৫ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। মৌখিক পরীক্ষা হবে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে।

উল্লেখ্য, পরিকল্পনামন্ত্রী চলতি বছরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশে যতদিন দারিদ্র্য দূর না হবে, ততদিন এ প্রকল্প চলবে। সমন্বিত গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিটি বাড়িকে অর্থনৈতিক কার্যাবলির কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে গড়ে তোলার প্রয়াসে ১ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পটি নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ১২০ কোটি টাকা। পরবর্তীতে আরও ১ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো হলেও মেয়াদ এক বছর কমানো হয়।

দ্বিতীয় সংশোধনীতে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হলে ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। তৃতীয় ধাপে ২০২০ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ পুরোপুরি শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। ওই সময়ের পর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রকল্পের কর্মসূচি অব্যাহত রেখে একে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন ২০১৪ পাস করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী গত ২২ জুন ব্যাংকটির ১০০টি শাখা উদ্বোধন করেন।

বিডি২৪লাইভ/এসএইচআর/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: