নির্বাচনকে সামনে রেখে যে পথে হাঁটছে বিএনপি

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ০৯:৩০ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে রাজনৈতিক দল গুলো। সেই দিক থেকে পিছিয়ে নেই দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি।

জানা গেছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও একাদশ জাতীয় এই সংসদ নির্বাচনে অংশ নিবেন তারা। আর তাই এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার বা সংলাপের জন্য প্রস্তুত আছে দলটি। সেই সাথে সংলাপ বা সমঝোতা না হলে আন্দোলন সংগ্রামের পথকেও বেছে নিতে দু’বার ভাববে না দলটি। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে বাধ্য করতে সব ধরনের প্রস্তুতি তাদের আছে বলেও জানিয়েছে দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি দলের উচিত সবার আগে দেশের গণতন্ত্রকে গুরুত্ব দেয়া। গণতান্ত্রিক পন্থায় যেভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায় তার সবকটি নিয়মই সবদলের পালন করা উচিত। তারই ধারাবাহিকতায় সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ, সমঝোতা বা আলোচনা ছাড়া দেশের চলমান সংকট সমাধান সম্ভব নয়। আর এই সংকট সমাধানে আলোচনা, সংলাপ বা সমঝোতার ডাক সরকারকেই দিতে হবে।

বিএনপি সূত্র মতে, দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে সব ধরনের প্রস্তুতিই তাদের আছে। বার বার সরকারকে এই সংকট সমাধানে সমঝোতার কথা বলা হচ্ছে। নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তারা সমঝোতার আহ্বান জানাবে কিন্তু তাতে কাজ না হলে তখন আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সরকারকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। আপদকালীন সময়ে আন্দোলনের প্রয়োজন অনুভব করে দলের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় তৃণমূলকে সংগঠিত ও ক্রন্দল মুক্ত করছে কেন্দ্রের সাথে তৃণমূলের যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার কক্সবাজার সফরে দক্ষিণাঞ্চলের তৃণমূলে ক্রন্দল কমেছে এবং ১২ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির জনসভার মাধ্যমে কেন্দ্রের নেতাদের শৃঙ্খলা ও সুসংগঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির নেতারা। সারা দেশের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত ও জনগণকে পাশে পেতে আগামীতে বিভাগীয় শহর সফর করবেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেও জানা গেছে দলটির পক্ষ থেকে।

এ বিষয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের চলমান সংকট সমাধানে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি। আর তাকেই সমঝোতার মাধ্যমে সহায়ক সরকারের ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা সহায়ক সরকার ছাড়া দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।

দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বিডি২৪লাইভকে বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে সরকারকে সমঝোতায় আসতেই হবে। সমঝোতায় না আসলে রাজপথে আন্দোলন ছাড়া বিএনপির আর কোনো পথ খোলা থাকবে না। আর বিএনপি দুটি পথকে বেছে নিতেই প্রস্তুত। হয় সমঝোতা না হয় আন্দোলন বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: