১ জনের ফাঁসি, ২ জনের যাবজ্জীবন
গাজীপুরের শ্রীপুরে শিশু নাজনীন হত্যার মামলায় একজনকে ফাঁসি এবং দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম এনামুল হক ওই রায় প্রদান করেন। রায়ে তাদের প্রত্যেককে অর্থদন্ডও দিয়েছেন।
রায়ে মামলার আসামি শ্রীপুর উপজেলার চকপাড়া এলাকার হাসমত আলীর ছেলে মো. রিপন মিয়াকে (৩৩), ফাঁসিরদন্ড ও ১০হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং বগুড়া সদরের ভাটকান্দি গ্রামের মো. রহিমের ছেলে রবিউল ইসলাম (২০) ও শেরপুর ঝিনাইগাতী থানার দিঘীরপাড় এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে মো. মোজাফ্ফরের (১৯) প্রত্যেককে যাবজ্জীবন, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিনমাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
গাজীপুরের পিপি হারিছ উদ্দিন আহম্মদ জানান, জমি-জমার বিরোধের জেরে ২০১৫ সালের ৩০অক্টোবর গভীর রাতে খুন হয় ৭বছরের শিশু নাজনীন। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে হওয়ার পর বাবাও অন্যত্র বিয়ে করেন। বাবার সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হলে নাজনীন শ্রীপুরের চকপাড়া এলাকায় তার নানা হাসমত আলীর বাড়িতে বসবাস করতে থাকে। হাসমত আলীর সঙ্গে জমি নিয়ে প্রতিবেশি আব্দুল করিম, আব্দুল কাদির, আব্দুল মোতালেবদের বিরোধ চলছিল। আসামিরা ইতোপূর্বে হাসমত আলীকে তার বাড়ি ছেড়ে যেতে হুমকি দিয়ে আসছিল। ওই জমি না ছাড়লে নাজনীনের ক্ষতিসাধন করবে বলে হুমকি দিচ্ছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
২৯অক্টোবর সকালে হাসমত আলী তার স্ত্রী ও নাতনীকে বাড়ি রেখে টাঙ্গাইলে বেড়াতে যান। এ সুযোগে ২০১৫ সালের ৩০ অক্টোবর দিবাগত রাত আড়াইটার সময় নানীর সঙ্গে ঘুমিয়ে থাকা নাজনীনকে তুলে নিয়ে বাড়ির উঠোনে জবাই করে হত্যার পর আসামিরা চলে যায়। পরদিন সকালে ভিক্টিমের মা মোছা. আসমা বেগম বাদি হয়ে শ্রীপুর থানায় স্থানীয় আব্দুল করিম (৩২) আব্দুল কাদির ((৩৮) ও আব্দুল মোতালেব তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পরে মামলা দীর্ঘ তদন্তের ওই তিনজন জড়িত থাকায় জড়িত না থাকায় চার্জশিটে তাদের নাম বাদ পড়ে। মামলার সার্বিক তদন্তে আসামি রিপন, রবিউল এবং মোজাফ্ফর নাজনীনকে হত্যার প্রমান পাওয়া যায়।
পরে তাদের নামে ২০১৬সনের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খন্দকার আমিনুর রহমান আদালতে চার্জসিট জমা দেন। মামলার আসামি রিপনের স্বীকারোক্তির ভাষ্যমতে আব্দুল করিমকে ফাঁসানোর জন্য ওই দন্ডিতরা মিলে নাজনীনকে হত্যা করেছিল। মামলায় আটজনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার সকালে আদালত ওই রায় দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মো. হারিছ উদ্দিন আহম্মদ এবং আসামি পক্ষে শাহ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও ওয়াহিদুজ্জামান আকন্দ (তমিজ) মামলা পরিচালনা করেন।
বিডি২৪লাইভ/ইম
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: