‘ছেলের বিয়েতে আইভীকে দাওয়াত দিয়েছিলাম’

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০১৮, ০৬:০৬ পিএম

সংসদ সদস্য শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে নানারকম অভিযোগ এনে বলেছেন, ‘আমার ছেলের বিয়ে গেছে ক’দিন আগে। সবার কাছে আমার দাওয়াত পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু ওর (আইভী) বাড়িতে গিয়েছি। ওর মা জীবিত আছেন। ওই বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত দিতে গিয়েছি আমি। কিন্তু ১ ঘন্টা আমি দাঁড়িয়েছিলাম নিচে। এরপর তার ছোটো ভাই আসলে দাওয়াত কার্ড দিয়েছে। সবার জন্য আলাদা-আলাদা কার্ড দিয়েছি। কিন্তু উনি আসেননি।’

অতীতের বাজে জিনিসগুলো শেষ করার জন্যই শামীম ওসমান আইভীর বাড়িতে দাওয়াত দিতে গিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি। সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশনের সরাসরি অনুষ্ঠানে টক-শো এসে শামীম ওসমান এ কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, ‘আইভীকে ছোট বোন বলি যেহেতু সে আমার বয়সে ছোটো। এটা একটা ভদ্রতা। কিন্তু ছোটো বোনের মর্যাদা উনি রাখেননি। এক বছর আগে নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে জামায়াত-বিএনপি আমাদের বিরুদ্ধে যত প্রোপাগান্ডা করেছে, তার চেয়ে বেশী করেছে আইভী এবং তার গং।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সবকিছু ভুলে গিয়ে তার জন্য নির্বাচন করেছি। আমি কিভাবে করেছি সেটা সারা দেশবাসি দেখেছে। এটা আইভীও জানে। আমি কোনো ধন্যবাদ পাওয়ার আশা করিনি এবং ধন্যবাদ দেয়ার মত মানসিকতাও তার ছিল না। নির্বাচনে যারা পাশ-ফেল করে তারা দুজন দুজনের সাথে কথা বলে, এটা নর্মাল ব্যাপার। কিন্তু তার পক্ষে মাঠে নামার পরেও ধন্যবাদতো দূরের কথা, অনেক নেগেটিভ কথা শুনেছি।’

শামীম ওসমান বলেন, ‘এক বছর আগে আমি একটা ওয়াজ মাহফিলে বলেছিলাম, মানুষের রুটি-রুজি তৈরি করে দেয়া খুব কঠিন। কিন্তু কেড়ে নেয়া খুব সহজ। আমাদের ইসলামের বিধান হচ্ছে, নিজে খাওয়ার আগে আশেপাশের প্রতিবেশীর খবর নাও। কিন্তু হকারদেরকে ২৫ ডিসেম্বর পিটিয়ে উঠিয়ে দেয়া হয়। কাপড়গুলো জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপর আমি বললাম একটা বিকল্প ব্যবস্থা করেন। যারা গরীব, তারাইতো সেখানে ব্যবসা করছেন। এ ৫ হাজার লোক খাবে কি?’

এরপর যখন সমাবেশ হয়েছে সেখানে আমি গিয়েছি। যাওয়ার পর সেখানে আমি হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখেছি। এরপর সেখানে শুধু আমি অনুরোধ করেছি এটা, ২০ এ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এদেরকে বসতে দিন।’

সংঘর্ষের সময় প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে ধরা নিয়াজুলের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নিয়াজুলকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল, যা অনেক মিডিয়াই বলছে। বাশেরকেল্লা, জামায়াতে ইসলামীর অফিসিয়াল মুখপাত্র। নেত্রীর বিরুদ্ধে বলছে আমার বিরুদ্ধেও বলছে। আইভীকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়নি, নিয়াজুলকেই হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ভিডিও ফুটেজও তাই বলে দিয়েছে। যুগান্তর, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ অনেক অনলাইন সেই নিউজ করেছে।’

‘কেউ যদি প্রমান করতে পারে নিয়াজুলের এক চুল পরিমান দোষ আছে আমি এই মুহুর্তে এখান থেকে পদত্যাগ করবো’, বলেন শামীম ওসমান।

 

বিডি২৪লাইভ/এমআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: