তালাকের পরও মল্লিকার সাথে এ কি করল স্বামী!

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০১৮, ০৯:৩১ পিএম

গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামীকে তালাক দেয়ায় পরও সাবেক স্বামীর হাত থেকে রক্ষা পায়নি মল্লিকা নামে এক নারী। সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা জাম্বুরীটেক গ্রামে সাবেক স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হন মল্লিকা। পরে শরীরে বিভিন্ন ক্ষত নিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন তিনি।

অভিযুক্ত মজনু মিয়া (৪৫)। সে একই জেলার কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ঝাউয়াদি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তার সাথে গত ৮ বছর আগে মল্লিকার বিয়ে হয়। সেখানে স্বামীর যৌতুকের দাবি মিটাতে না পেরে ৬বছর আগে তাদের মধ্যে তালাকের ঘটনা ঘটে। পরে দীর্ঘদিন যাবৎ মল্লিকা বাবার বাড়িতে বসবাস করে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতো।

নির্যাতনের শিকার মল্লিকা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই অভিযুক্ত মজনু মদসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক সেবন করত। পোশাক কারখানায় চাকুরীর বেতন না দেয়ায় স্ত্রী মল্লিকা বেগমকে বিভিন্ন সময় মারধর করত। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে আদালতের মাধ্যমে দুবার তালাক দেয়ার পরও অভিযুক্ত স্বামী তালাক পত্র গ্রহণ করেনি। পরে গত চার মাস আগে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তাকে তালাক পত্র পাঠানো হয়।

সোমবার রাত ৭টার দিকে প্রতিবেশীর ঘরে টিভি দেখার সময়। তালাক দেয়ার অপরাধে অভিযুক্ত স্বামী মজনু মিয়া তাকে টেনে হিঁচড়ে ঘর বের করে। পরে উঠানে ক্ষুর দিয়ে গলায় আঘাতের চেষ্টা করে। প্রতিরোধ করতে গেলে বাম হাতের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। এক পর্যায়ে দুই গালে পোঁচ দিয়ে পালিয়ে যায় মজনু মিয়া।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ লোক না থাকায় অভিযুক্ত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আহতকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়।

অভিযুক্ত মজনু মিয়া বলেন, নিজের হাত ও গাল নিজে কেটে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে মল্লিকা বেগম। যদি তালাক দিতে হয় তাহলে এতদিন সে যেসব সম্পদ ভোগ করেছে তা ফেরত দিতে হবে।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সালমা নূর জানান, ধারালো কোনো বস্তুর আঘাতে ওই নারীর হাতে রগ কেটে গেছে। দুই গালেও একইরকম আঘাত রয়েছে। জখমগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখান থেকে চিকিৎসা সেরে আসার পর তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে নারী আহতের খবর শুনে পুলিশ উদ্যোগী হয়ে আইনি প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: