ফের ডিভোর্স ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন শাকিব
শাকিব-অপু ইস্যুতে বেশ লম্বা সময় ধরেই সরগরম চলচ্চিত্র পাড়া। প্রতিবারই ছিলো দুইজনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। তাদের মধ্যকার সমস্যা সমাধাণের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন দুই দফা সমঝোতা বৈঠকের ব্যবস্থা করেন। তবে কিছুতেই কিছু হলো না। অবশেষে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সম্পূর্ণ বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে এই দম্পতির।
নিজের দাম্পত্য জীবনের ইতি নিয়ে শাকিব খান বলেন, ' ‘সহ্যের সীমা আছে, তার জন্য কী করিনি, সে আমাকে স্বামী হিসেবে কখনো মানেনি চেয়েছিলাম সুখে শান্তিতে ঘর করতে। তারপরেও সে নানাভাবে আমাকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ১০ এপ্রিল আমার বিরুদ্ধে আমার সন্তানকে নিয়ে টেলিভিশন চ্যানেলে লাইভ অনুষ্ঠানে যাওয়া কি তার উচিত ছিল? তারপরেও আমি তার ও আমার সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বার বার সব ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।'
শাকিব খান বলেন, '১০ এপ্রিলের ঘটনার পরেও নিয়মিত তার বাসায় যেতাম, তার ও আমাদের সন্তানের খোঁজখবর নিতাম। মাসে যা ভরণ-পোষণ দরকার সবই দিচ্ছি। এত কিছুর পরেও সে কখনো আমাকে ঘিরে তার করা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য একবারও স্যরি বলেনি। সে শুধু আমাকেই অপমান করেনি। আমার বাবা-মাকেও অসম্মান করেছে। সে যদি একবার সবার সামনে এর জন্য ক্ষমা চাইত আমি অবশ্যই সব ভুলে গিয়ে আবার ঘর সংসার শুরু করতাম।'
শাকিব দুঃখ করে বলেন, 'এরপর আবার সে আমার বাচ্চাকে বাসায় কাজের মানুষের কাছে রেখে ঘর তালাবদ্ধ করে দেশের বাইরে চলে যায়। এমন খবরে সন্তানের জন্য চরম উৎকণ্ঠিত হয়ে দেশে এসে সন্তানকে উদ্ধারে নিকেতনে তার বাসায় ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম, দরজায় তালা দিয়ে অপু চাবি নিয়ে চলে গেছে। এরপর বাবা হিসেবে আমি কেমন মানসিক যাতনায় ছিলাম তা কারও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।'
ঢালিউড সুপারস্টার বলেন, 'এরপরও কিছু বলিনি। অপু ফিরে এসে এর জন্য আমার কাছে ক্ষমা তো চায়নি বরং আমার বিরুদ্ধে আবার বিষোদগার শুরু করে। এই অবস্থায় তাকে ডিভোর্স দেওয়া ছাড়া আমার আর কোনো পথ ছিল না। ২২ নভেম্বর বাধ্য হয়ে আইনজীবী মারফত ডিভোর্স লেটার পাঠাই।'
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে পরিচালক এফ আই মানিক পরিচালিত ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে নায়িকা হিসেবে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেন অপু। সেই বছর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই জুটি একাধারে ৭০টির মতো ছবিতে অভিনয় করেন। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে এক সময় প্রেমের সম্পর্ক হয় তাদেডির্ভোস ইস্যু নিয়ে যা বললেন শাকিব
বিডি২৪লাইভ/এএ/এমআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: