সেরা সাত অলস ক্রিকেটার!

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০১৮, ১২:১৭ পিএম

একজন খেলোয়াড়কে ফিট থাকার জন্য পরিশ্রমী হতে হয়। যে খেলোয়াড় যত বেশি ফিট সে তত বড় মাপের খেলোয়াড়। এই কারণেই একজন খেলোয়াড়কে সুস্থ সাধারণ একজন ব্যক্তির তুলনায় অনেক বেশি খাটতে হয় ফিট থাকার জন্য।

ক্রিকেট অঙ্গনে এখন ফিটনেস নিয়ে খুব আলোচনা চলছে। সব দলই রান বাঁচাতে টিমে ভালো ফিল্ডার বা দক্ষ ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়ার জন্য বেশি আগ্রহী। তবে কিছুদিন আগেও এই জিনিসটা তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। আর সেসব ক্রিকেটাররা যদি বর্তমানে সময়ে খেলতেন, তাহলে কোনও দিনই জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে পারতেন না। আজ তেমনই সাতজন অলস ক্রিকেটারকে নিয়ে এই প্রতিবেদন।

অলস ক্রিকেটার মধ্যে সর্ব প্রথম ইনজামাম-উল-হককে ধরা যায়। ওয়ানডে ক্রিকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান শিকারি তিনি। পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক বেশ বিখ্যাত ছিলেন ক্রিকেট কেরিয়ারে। তার মোটা চেহারা আর সিঙ্গেল রান নিতে না চাওয়ার জন্য ইনজামাম-উল-হককে আলু বলে ডাকতেন ক্রিকেট ফ্যানরা। এতে তিনি খেপে যেতেন কিন্তু কোন দিন তা সত্ত্বেও নিজের স্বভাব বদলায়নি তিনি। রান করার জন্য এক বা দু’রান নয়, বড় বড় শট নিতে পছন্দ করতে ইনজামাম। পাকিস্তানের এই ব্যাটিং লিজেন্ডের খারাপ রানিং বিট্যুইন দ্যা উইকেটের কারণে ৪০ ব্যাটসম্যানকে রান আউট হতে হয়েছিল।

ইনজামামের পরেই রয়েছে ইউসুফ পাঠান। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এই ভারতীয় ক্রিকেটারের ফিটনেস নিয়ে কোনও সমস্যা না থাকলেও, ভীষণ রকম অলস তিনি। ব্যাটসম্যান হিসেবে যতটা বিস্ফোরক উইকেটের মাঝে রান নেওয়াতে ততটাই খারাপ, আলসেমির কারণে। খুচরো রান না নিয়ে বড় বড় শট খেলার দিকে সবসময় নজর থাকে পাঠানের।

অলস ক্রিকেটারের মধ্য তিনে আছেন বারমুডার ডোয়েন লেভেরক। ক্রিকেট মাঠে যত জন ক্রিকেট খেলতে এসেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে মোটা চেহারার অধিকারী। স্থুলকায় চেহারার হওয়ায় লোকে তাকে স্লাগো নামে ডাকে। ২০০৭ বিশ্বকাপে বারমুডার হয়ে অংশ নেওয়া ডোয়েনের ওজন ২৮০ পাউন্ড ছিলো। ফিটনেস নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনও বালাই ছিল না তার মধ্যে। বল পাস দিয়ে বেরিয়ে গেলেও তা ঝাঁপিয়ে বা দৌড়ে গিয়ে আটকানোর কোন চেষ্টা করার মতো ক্রিকেটার মোটেই নন ডোয়েন।

পাকিস্তানের অলস আরেক ক্রিকেটার হচ্ছে নাসির জামশেদ। এই ক্রিকেটার নিজের টিমেরই বিভীষিকা। যেমন খারাপ ফিল্ডার তেমনই উইকেটের মাঝে বড্ড অলস রানার। তার কারণে পাক টিমের বহু ব্যাটসম্যান রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছে।

পাঁচে আছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইরফান। তিনি অলস হলেও দর্শকদের খুব পছন্দের ছিলেন। সাত ফুটের ওপর লম্বা হওয়ার কারণে ফিল্ডিং করার সময় ঝোঁকার কোনও বালাই নেই। বরং ওই লম্বা লম্বা পা দিয়ে তাকে বাউন্ডারি বাঁচাতে দেখে ক্রিকেট ফ্যানরা আনন্দে আপ্লুত হতে ভালোবাসেন।

ভারতীয় মুনাফ প্যাটেল আছেন ষষ্ঠ নম্বরে। এই ক্রিকেটারকে মাঠে ফিল্ডিংয়ের সময় বহুবার বকা খেতে হয়েছে দর্শকদের কাছ থেকে। ফাস্ট বোলার হলেও খুবই অলস ছিলেন তিনি। ফিল্ডার হিসেবে তার ওপর দলের কোনও দিনই ভরসা ছিল না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার স্বল্প স্থায়ী হলেও, লল যত দিন গড়ায় তার বলে গতিও কমতে শুরু করে। আর এইভাবে একদিন দল থেকে ছিটকে যান।

সর্বশেষ রয়েছে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল। এই তারকা ভীষণ রকমের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। নিজের স্টাইলেই খেলেন। ক্রিকেট মাঠে তাকে দেখলে কখনই বোঝা যায় না চাপে আছেন। বরং তাকে দেখে অন্যরা চাপে থাকে। গেইলের এক বা দু’রান নেওয়া একেবারেই অপছন্দের। তার যুক্তি হলো, উইকেটের মাঝে দৌড়ে সময় এবং এনার্জি নষ্ট করার চেয়ে চার ও ছয় মেরে রান করা বেশি ভালো। আশ্চর্যের বিষয় তার ক্রিকেট কেরিয়ারে ক্রিস অর্ধেক ফিট হয়ে মাঠে নেমছেন এবং সেই অর্ধেক ফিট গেইল আবার বিপক্ষ টিমের বোলাদের কাঁদিয়ে ছেড়েছেন।

বিডি২৪লাইভ/এমআইএইচ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: