গোপালগঞ্জে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঘোড়াদৌঁড় প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০১৮, ০২:৩২ পিএম

গোপালগঞ্জে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াদৌঁড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবর রহমান বেগ বলাকইড় বিলের মাঠে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও গোপালগঞ্জের ১০ টি ঘোড়া অংশ নেয়।

প্রতিযোগিতায় যশোরের বাঘারপাড়ার মিলন বিশ্বাসের ঘোড়া চ্যাম্পিয়ন হয়। সাতক্ষীরার কলারোয়ার পরিতোষ বিশ্বাসের ঘোড়া প্রথম রানার্সআপ, বাগেরহাটের শহিদুল ইসলামের ঘোড়া দ্বিতীয় রানার্সআপ ও যশোরের অভয়নগরের রাজু মিয়ার ঘোড়া তৃতীয় রানার্সআপ হয়। বিজয়ী ঘোড়ার মালিকের হাতে পুরস্কার হিসেবে নগদ টাকা তুলে দেয়া হয়।

বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫ রাউন্ডে ওই মাঠে ঘোড়াদৌঁড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মাঠে বৃত্তাকারে ৫ রাউন্ডে রেসের ঘোড়াগুলো অন্তত ১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। ছকের প্রথম থেকে মাষ্টার বাশি বাঁজালে ঘোড়া দৌঁড়াতে শুরু করে। ঘোড়ার সোয়ার কৌশলে ঘোড়ার পিঠের সাথে মিশে পেছনের দিকে সজোরে বেত মারতে থাকে। বেতের আঘাতে ঘোড়া দ্রুত ছুটে চলে সামনের দিকে। উপস্থিত দর্শক দু’পাশে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে ঘোড়ার সোয়ারকে উৎসাহিত করে। শেষ মাথার গন্তব্য স্থলে নিরন্তর ছুটে চলে ঘোড়ার দল। এভাবেই গন্তব্যে যে ঘোড়া আগে পৌঁছায়, সে ঘোড়াই পর্যায়ক্রমে বিজয়ী হয়।

করপাড়া ইউনিয়নসহ আশপাশের গ্রাম থেকে বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার নারী-পুরুষ বলাকইড় বিলের মাঠে ঘোড়া দৌঁড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করে স্বাধীনতা দিবসের আনন্দকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলেন।

এ উপলেক্ষে ওই মাঠে বসেছে ৩ দিন ব্যাপী গ্রামীণ মেলা। এ মেলায় বাঁশ, বেত, মৃতশিল্প, মিষ্টি, মুড়ি, মুড়কিসহ বিভিন্ন দোকান বসেছে। এ সব দোকানে প্রচুর কেনাবেচা হয়েছে।

শিশু সাইমা বিনতে মাহবুব, কিশোরী লায়লা, যুবক আরমান শেখ, গৃহবধূ সালমা, বৃদ্ধ রজব আলী শেখ বলেন, স্বাধীনতা দিবস বাঙ্গালী জাতির আনন্দের দিন। এ আনন্দকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলেছে ঘোড়াদৌঁড় প্রতিযোগিতা। ঘোড়াদৌঁড় প্রতিযোগিতা দেখে আমরা আনন্দ পেয়েছি। 

অনুষ্ঠানের আয়োজক করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মজিবর রহমান বেগ বলেন,  গ্রাম্য বিনোদনের একটি বড় মাধ্যম ঘোড়াদৌঁড় প্রতিযোগিতা। মাঠ সংকটসহ বিভন্ন কারণে এ ঘোড়া দৌঁড় আমাদের সংস্কৃতি থেকে হারাতে বসেছে। ২০১৫ সাল থেকে আমি মানুষকে আনন্দ দিতে স্বাধীনতা দিবসের পর দিন এ প্রতিযোগিতা শুরু করি। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করতে আগামীতে এ আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: