রমজানে মূল্যবৃদ্ধি রোধে মাঠে থাকবে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০১৮, ০৮:৫২ পিএম

সামনেই রমজান মাস। আর এ মাসকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফার লোভে বাড়িয়ে দেন পণ্যদ্রব্যের দাম। এবার পণ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রনে মাঠে থাকবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোঃ শফিকুল ইসলাম লস্কর সোমবার বিডি২৪লাইভকে বলেন, রমজানে আমাদের অভিজান চলবে। সাধারণত শুক্র ও শনিবার আমাদের অভিযান বন্ধ থাকলেও রমজানে শনিবারেও আমাদের অভিযান চলবে। অনান্য সময়ের তুলনায় রমযানে অভিযানের সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ব্যবসায়ী সংগঠন ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর সভাটি রমজান মাসের এক সপ্তাহ বা দুই-তিনদিন আগে হলেও এবার অনেক আগেই হয়েছে। ওই সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সচিবসহ ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন ও সমিতির নেতৃবৃন্ধ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি জানান, ওই সভায় ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন ও সমিতির নেতৃবৃন্ধ রমযানে দাম বৃদ্ধি না করার কথা বলা বলেছেন। অর্থাৎ রমযান উপলক্ষ্যে মূল্যবৃদ্ধি করা হবে না বলে তারা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সভায় বলা হয়েছিল, রমজান মাসকে কেন্দ্র করে দাম যেন না বাড়ানো হয়। ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, এটা হবে না। অন্যসময়ের মুল্যেই রমযানে বিক্রি করার চেষ্টা করা হবে।

গত ১ এপ্রিল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ দেশজ উৎপাদন এবং আমদানির উপর নির্ভরশীল। উৎপাদক, আমদানিকারক, পরিবেশক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিশেষ করে চাল, আটা, চিনি, ভোজ্যতেল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, খেজুর ইত্যাদির বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হচ্ছে। সুতরাং রমজানে কোনো পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। এ সময় উপস্থিত ব্যবসায়ীরাও মন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করেন।

এদিকে, গত ৫ এপ্রিল সংসদ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সংসদীয় কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ছানোয়ার হোসেন, লায়লা আরজুমান বানু এবং মোহাম্মদ হাছান ইমাম খান বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এবার রমজানে কোনো অবস্থাতেই দ্রব্যমূল্য বাড়তে দেওয়া হবে না। কেউ দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, যে পরিমাণ পণ্য মজুত আছে এবং আমদানি হচ্ছে, তাতে দাম বাড়ার কোনো অবকাশ নেই। এবার রমজান সামনে রেখে ১০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে। 

বিডি২৪লাইভ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: