সিনহার ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি টাকা, দুই ব্যক্তিকে তলব

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০১৮, ০৯:৩৭ পিএম

ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পে-অর্ডারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের এক ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির’ ব্যাংক হিসাবে চার কোটি জমা দেয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই অংশ হিসেবে ব্যবসায়ী নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা ও মোহাম্মদ শাহজাহানকে তলব করেছে কমিশন।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ৬ মে সকাল ৯টায় কমিশনে হাজির থাকতে ওই দুই ব্যবসায়ীকে চিঠি পাঠিয়ে তলব করেছেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

কিন্তু ‘গুরুত্বপূর্ণ ওই ব্যক্তিটি কে?’ এ বিষয়ে দুদকের কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, সেই ব্যক্তিটি হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা। তার ব্যাংক হিসাবে ওই চার কোটি টাকার পে-অর্ডার জমা দেয়ার অভিযোগে এই দুই ব্যবসায়ীকে তলব করা হয়েছে।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের তোপে পড়ার পর গত বছরের অক্টোবরে ছুটি নিয়ে বিদেশ গিয়ে সেখান থেকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বিচারপতি সিনহা। তার যাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তার বিরুদ্ধে ১১টি ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের’ কথা বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ।

&dquote;&dquote;

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুরুতর এই অভিযোগ তদন্তে তখন দেশের দুর্নীতি প্রতিরোধের রাষ্ট্রীয় সংস্থা দুদকের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। সাংবাদিকদের প্রশ্নে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ তখন বলেছিলেন, ‘যদি পাই, যারই হোক না কেন, আমরা দুর্নীতির অনুসন্ধান করব।’

দুদক কর্মকর্তারা বলেন, ২০১৬ সালে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে দুই কোটি টাকা করে মোট চার কোটি টাকা শাহজাহান ও নিরঞ্জন ঋণ নেন। এরপর একই বছরের ১৬ নভেম্বর সেই অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে ‘রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির’ ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ফারমার্স ব্যাংক যাত্রা শুরুর চার বছর না যেতেই নানা অনিয়মের ধুঁকছে। চাপের মুখে ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও ছাড়তে হয়েছে মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে।

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: