কেউ টিসিবির পণ্য উত্তোলন করবেনা

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০১৮, ০৩:৪১ পিএম

আজ শুক্রবার (১৮ মে) থেকে শুরু হয়েছে মাহে রমজান। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত জেলার ২৯ জন ডিলার ও বিক্রয় প্রতিনিধিরা কেউ টিসিবি‘র পর্ণ্য উত্তোলন করেননি। এ কারণে টিসিবির নির্ধারিত মূল্যে পর্ণ্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকছেন দিনাজপুরের সাধারণ মানুষ। 

তবে একটি সূত্র জানায়, টিসিবির নির্ধারীত মূল্যের চেয়ে বাজারে পণ্যর দাম কম এই অজুহাতে ডিলার ও বিক্রয় প্রতিনিধিরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে অলিখিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেউ টিসিবির পন্য উত্তোলন করবেন না। 
                                                            
বৃহস্পতিবার  (১৮ মে) পর্যন্ত পন্য উত্তোলন না করায় ভ্রাম্যমান ট্রাক সেল ও উপজেলা পর্যাযে নিয়মিত ডিলারদের বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়নি।

এদিকে গতকাল রমজান শুরুর আগের দিন বৃহস্পতিবার অনেককে দিনাজপুরে টিসিবি‘র মালামালি বিক্রির সম্ভাব্য জায়গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দান ও কালিতলা দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এসে খোঁজ করতে দেখা যায়।

জানা যায়, ৬ মে রবিবার সারা দেশে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবি‘র আসন্ন পবিত্র রমজান  ও ঈদ-উল- ফিতর উপলক্ষে ভোক্তা সাধারণের মাঝে জেলা সদরে টিসিবি‘র ভ্রাম্যমান ট্রাক সেল ও উপজেলা পর্যাযে নিয়মিত ডিলারদের বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু গতকাল বুধবার পর্যন্ত দিনাজপুর জেলা সদর সহ ১৩ উপজেলার কথাও  তা চোখে পড়েনি। 

কেন দিনাজপুরে টিসিবির নির্ধারিত মূল্যে মালামাল চিনি, মশুর ডাল, সয়াবিন তেল, ছোলা ও খেজুর  বিক্রি শুরু হয়নি খবর নিতে গিয়ে জানা যায়, দিনাজপুরে টিসিবি‘র ২৯ জন ডিলার ও বিক্রয় প্রতিনিধি রয়েছে।  তাদেরকে রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে মালামাল উত্তোলন করতে হয়। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোন ডিলার বা বিক্রয় প্রতিনিধি মালামাল তুলেনি। ফলে এ কার্যক্রম শুরু হয়নি।

মালামাল উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুরের উপ-উর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিশকাতুল আলম জানান, গতকাল বুধবার পর্যন্ত  দিনাজপুরের ২৯ জন ডিলার ও বিক্রয় প্রতিনিধির মধ্যে কেউ পর্ণ্য উত্তোলন করেননি। কেন দিনাজপুরের ডিলার বা বিক্রয় প্রতিনিধিরা পন্য তুলছেনা জানতে চাইলে তিনি  বলেন, এর কোন উত্তর তার জানা নেই। তবে তার অধিনস্ত জেলা গুলোর মধ্যে দিনাজপুর ছাড়া প্রায় সবাই কমবেশী পণ্য উত্তোলন করেছেন। 

দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সামনে টিসিবির পণ্য ক্রয়ের জন্য খোঁজ করতে আসা শহরের লালবাগ এলাকার আনিসুল হক জুয়েল জানান, তিনি প্রতি বছর টিসিবির পণ্য ক্রয় করেন। বিভিন্ন পত্রিকায় খবর পড়ে ও টিভিতে খবর শুনে তিনি পন্য কেনার জন্য প্রথমে সম্ভাব্য জায়গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দান যান।সেখানে না পেয়ে  কালিতলা দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এসেছেন। তিনি দ্রæত সরকারী এই সেবা চালুর দাবী জানান।

কেন টিসিবির পর্ণ  উত্তোলন ও বিক্রি শুরু করেননি এ বিষয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুর শহরের চকবাজারের মেসার্স কানাই লাল গুপ্ত এন্টার প্রাইজের সত্বাধিকারী ও টিসিবি ডিলার কানাই লাল গুপ্ত জানান, টিসিবি চিনি, মশুর ডাল, সয়াবিন তেল, ছোলা ও খেজুর  বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছে বাজারে সেই পর্ণ গুলো মূল্য কেজিতে প্রকার ভেদে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কম। 

তা ছাড়া যে সকল পন্যের চাহিদা বেশী তা সরবরাহ করা হয় কম। আর এ কারণে তাকে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে তাই সে কোন পণ্য উত্তোলন করেননি। এসময় তিনি আরও বলেন তিনি গত বছর ৭০ হাজার টাকা লস করেছেন। তিনি আর বলেন, এবার ২৯ জন ডিলার ও বিক্রয় প্রতিনিধির কেউই টিসিবির পণ্য উত্তোলন করবেনা।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. আবু নঈম মোঃ আবদুছ ছবুরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, পণ্য উত্তোলন করেননি এটা জেলা প্রশাসনের জানা নেই। তবে ডিলার ও বিক্রয় প্রতিনিধিরা যদি টিসিবির পণ্য না তোলেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বিডি২৪লাইভ/এমআরএম

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: