মাদক নির্মূল ও সমাজপতিদের সম্ভাব্য করণীয়

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০১৮, ০৮:০০ পিএম

মাদক নিয়ে সরকার খুব হার্ড লাইনে। এদিকে ঘোষণা দিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর আগেও একাধিকবার ঘোষণা দিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান হয়েছে। তবে পার্থক্যটা হচ্ছে, এবারে একের পর এক কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটছে, যাতে নিহত ব্যক্তিরা সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী বলে জানানো হচ্ছে।

অনেকেই এতে আতঙ্কিত। আবার মাদক নির্মূলের জন্য অনেকেই এটা সমর্থনও করছেন। বলছেন, যাক পাপ/ঝামেলা বিদায় হল। সমাজটা শেষ, ইত্যাদি.. ইত্যাদি।

এর আসলে দরকার ছিল কি?

সামাজিক ‘ক্রসফায়ার’ সহজেই এটা রোধ করতে পারতো। যারা নিজেদের উন্নয়নের রূপকার, নয়নমনি, জনগণের আশা ভরসা বলে দাবি করেন, নতুন দিনের স্বপ্ন দেখান, অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আবার সুযোগ চান, যারা নির্বাচিত প্রতিনিধি বা আইন প্রণয়ন করেন, রাজনীতি বা সামাজিক ভাবে সবচেয়ে বড় পোস্ট নিয়েছেন তাদেরকেই সামাজিক ক্রসফায়ারের কাজটা শুরু করতে হবে।

আপনাদের দিকেই তাকিয়ে আছি, কেননা এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স বাস্তবায়িত হবে আর সত্যিকারের সমাজ উন্নয়ন হবে (যদি চান)। খুব সহজ এই কাজটা এবং আপনি পারবেন, কারণ আপনি সমাজপতি। আপনি তো জানেন, কে মাদক নেয়? বিক্রি করে, বহন বা সংরক্ষণ করে, কে তাদের গডফাদার? অথবা তাদের নাম শুনেছেন। তাদের নামের তালিকা করে প্রকাশ করুন। প্রয়োজন পড়লে পুলিশ বা প্রশাসনের সহায়তা নিন। বাজারে, দোকানে, স্কুলে, পাড়া, মহল্লায় সেই তালিকা লাগিয়ে দিন।

মাদক সংশ্লিষ্ট কেউ তো আর আপনার চেয়ে বেশি ক্ষমতাধর নয়, তাই এইসব লোকদেরকে চিনিয়ে দিয়ে সমাজের সত্যিকারের উপকার করুন। সামাজিকভাবে বয়কটের ঘোষণা দিন। মাদক নির্মূল হতে বেশি সময় লাগবে না।

আপনার একটা ছোট্ট উদ্যোগ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দর একটা সমাজ দিতে পারে। প্রতিদিন নানাভাবে, নানা বক্তৃতায় সেই ভরসাই আপনি আমাদের দেন, এবার তা সত্যি করে দেখান। সমাজটা বাঁচাতে আপনি আসলেই আন্তরিক, সেটা প্রমাণ করার এটাই একটা সুযোগ। কাজে লাগান, সমাজ বা জনতা আপনার কাজে এমনি লাগবে।

রাজনীতিবিদ, লেখক
রুকুনুল ইসলাম ডলার

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: